মুলাদীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাত দিন পর মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় মামলা করেন। গত ৩ জুন রাত ৮টার দিকে সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামে এক বখাটে লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। চরমালিয়া গ্রামের জামাল খানের ছেলে অন্তর খান তার বন্ধুদের সহযোগিতায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে বলে জানান ছাত্রীর মা।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ৩ জুন সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী তাদের ঘরের ছাদে ওঠার সিড়িতে বসে ছিলো। পৌনে ৮টার দিকে অন্তর খান ও তার তিন সহযোগী ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে হাত-মুখ চেপে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সহযোগীদের পাহারায় রেখে অন্তর খান ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। প্রাণ নাশের ভয়ে ছাত্রী বাড়িতে ফিরে বিষয়টি কাউকে জানায় নি। তবে ছাত্রীর আচরণ ও চলাফেরায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর খালাতো বোন তাদের বাড়িতে আসলে সে তাকে সব কিছু বলে দিলে ছাত্রীর মা শুক্রবার দুপুরে চরমালিয়া গ্রামের জামাল খানের ছেলে অন্তর খান (১৭), কায়েতমারা গ্রামের লোকমান হাওলাদারের ছেলে ইয়াছিন (১৫), চরমালিয়া গ্রামের মো. দুলাল বেপারীর ছেলে রনি (১৬) এবং বাবুল বেপারীর ছেলে ইয়ামিন (১৫) কে আসামি করে মামলা করেন। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম মাকসুদুর রহমান জানান, ধর্ষনের অভিযোগে ছাত্রীর মা ৪জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।