বই বেচে তিনি লাভের মুখ দেখেন নি। তিনি একটি প্রগতিশীল পাঠক সমাজ তৈরি করেছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণে সাধারণ।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান বাদল এর নাগরিক স্মরণ সভায় বক্তাগন একথা বলেন।
খেলাঘর এর আয়োজনে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে শুক্রবার বিকেলে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মজিবুর রহমান বাদল সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তথা সর্বমহলে বাদল ভাই নামে পরিচিত ছিলেন। বই বিতান তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলেও তিনি বই ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেন নি। পরিচিত, সুহৃদ ও বই কিনতে না পারা মানুষকে তিনি বিনামূল্যে বই সরবরাহ ও পাঠের সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী বাদল ছিলেন ধর্মান্ধতা ও কূপম-ূকতা বিরোধী। সামাজিক নানা সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তিনি উদারহস্তে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ফরিদপুরে ৮৮ ও ৯৮ সালের বন্যায় স্যালাইন প্রজেক্ট এর মাধ্যমে তিনি ব্যাপক সহযোগিতা করেছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
তাঁর সততা, নিষ্ঠা আদর্শ ও মানবিক গুণাবলি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং এটা সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে বক্তাগন উল্লেখ করেন।
ফরিদপুর জেলার খেলাঘর এর সভাপতি আলতাফ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে এ নাগরিক স্মরণ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. বিপ্লব বালা।
খেলাঘরের সহসভাপতি উত্তম দত্তের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফুলকির সভাপতি অঞ্জলি বালা, আ: রাজ্জাক মোল্লা, অধ্যাপক ম. হালিম, অধ্যাপক আবদুল আজিজ, অধ্যাপক হোসনে আরা মঞ্জু,অধ্যাপক শিপ্রা রায়,সিরাজ- ই - কবীর খোকন, আবু সুফিয়ান চৌধুরী কুশল, মজিবুর রহমান, মাহফুজ মিলন, আযাদ আবুল কালাম রফিকুজ্জামান লায়েক, খেলাঘর ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আক্তারী জাহান ববি, খাদিজা বেগম, আহমেদ জালাল, ডা: হাফিজুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল বাতিন, সাহানা আক্তার জলি,রেজাউল করিম প্রমুখ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন ঘোষ, কবি পাশা খোন্দকার, কবি আবদুল মোতালেব ও প্রয়াত মজিবুর রহমানের সহধর্মিণী সুফিয়া প্রমুখ।
সভার শুরুতে প্রয়াত মজিবুর রহমানের বাদলের স্মরণে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী বাদল দাস ও স্টীভ তুর্য বাড়ৈ।
চরকমলাপুর নিবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান বাদল গত ২ জুন বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।