আগামী ১৫ জুন জেলার হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়ে পরেছে। তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী একজোট হয়ে তাদের প্রতিদ্বন্দী নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
হামলা, হুমকিসহ বিভিন্ন হয়রানীর ঘটনায় অতিষ্ঠ তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর একটি পত্রিকা অফিসে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সম্মেলনে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মুন্সি অভিযোগ করেন, আমি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই নজরুল ইসলাম মিলন আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছেন। ইতোমধ্যে আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর, বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমার নির্বাচনী কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়নের ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমার কর্মী সমর্থকদ ও তাদের ঘর বাড়িতে রাতের আঁধারে গিয়ে হামলা ও নির্বাচনী পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে নৌকা মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা।
তিনি আরও বলেন, গত ৮ জুন নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায়ে বিভাগীয় কমিশনারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় এসব অভিযোগ করা হয়। ওইদিন সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থকরা আমার কর্মীদের মারধরসহ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মাইনুদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে নৌকা মার্কার প্রার্থী নজরুল ইসলাম মিলন বারবার ভীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করে তুলেছে। এমনকি আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য তিনি (নজরুল) আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনজন প্রার্থী-ই উল্লেখ করেন, পুরো ঘটনা উল্লেখ করে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্বেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তাই তারা (তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী) নির্বাচনের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অপরদিকে ওই তিনজন প্রার্থীর অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম মিলন বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বান্মিত হয়ে নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নাটকীয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।