লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে মাদক কারবারির ছুড়ির আঘাতে পুলিশের দুই এএসআইসহ চারজন আহতের ঘটনায় ১ মাস পর পলাতক কুখ্যাত সেই মাদক ব্যবসায়ী তোফাজুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এটিএম গোলাম রসূল। এর আগে শনিবার (১১ জুন) রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার দহগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী তোফাজুল হোসেন উপজেলার দলগ্রাম শ্রীখাতা এলাকার মৃত আহম্মেদ হোসেনের ছেলে।
গত মাসের (১২ মে) বৃহস্পতিবার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের সিরাজুল মার্কেট এলাকায় পুলিশের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার কাকিনা সিরাজুল মার্কেট এলাকায় মহিপুর-কাকিনা সড়কের উপর কালিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়ি তল্লাশি করছিলো।এসময় ঢাকা মেট্রো গ ১১-৫১১২ নাম্বারের একটি গাড়ি কাকিনা থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল।গাড়িটি থামিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করলে গাড়ির চালক ও তার এক সহযোগী প্রাইভেটকার থেকে বের হয়ে এলোপাতাড়িভাবে চাকু মারা শুরু করে। এ সময় তাদের চাকুর আঘাতে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের এ.এস.আই মোঃ শাহজাহান এবং এ.এস.আই মোঃ মমতাজ আহত হয়। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা স্থানীয়রা পুলিশকে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসলে চর ইশোরকোল এলাকার রিয়াজুল ইসলামের পুত্র মোঃ মজমুল ইসলাম (৩২) ও একই এলাকার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র আবদুল খালেক মাদক কারবারীদের ছুড়ির আঘাতে আহত হয়।পরে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়। পুলিশ আটক করা গাড়িটি তল্লাশি করে ১৮০ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার করে।এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হলে তদন্তে নেমে পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীর পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করে।পরে গতকাল অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তোফাজুল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর যোগসাজশ ও জড়িত থাকার প্রমান রয়েছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গোলাম রসূল বলেন, মাদক ব্যবসায়ী তোফাজুলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।