ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন পাবনা ড্রামাসার্কেল গৌরবদীপ্ত প্রতিষ্ঠার ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। এ উপলেক্ষে সংগঠটি দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। দিনের শুরুতেই সংগঠন কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দলের সদস্য ও শোভাকাঙ্খিদের নিয়ে শহরে শোভাযাত্রা করে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা ও মনজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দলের সাবেক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি এম সাজিদুল্লাহ সুজনের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কমরেড জাকীর হোসেন, মাছরাঙা টিভির উত্তর অঞ্চলীয় ব্যুরোচিফ উৎপল মির্জা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান আহম্মেদ ব্যুড়, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু তাসিন খান তিনু, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, প্রেসক্লাব ক্লাব সম্পাদক সাংবাদিক সৈকত আফরোজ, প্রথম আলো প্রতিনিধি সরোয়ার উল্লাস, জীবন সদস্য ফিরোজ খন্দকার, সাবেক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হীরা, অভিনেতা মেহেদী হাসান, সংগঠক আবদুল হাফিজ, ওহিদুল কাওয়ছার, আমিনুল হক, সাইফুল ইসলাম, দলের সাধারন সম্পাদক ভাষ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ।
এছাড়া শুভেচ্ছা জানান, ইছামতি থিয়েটারের সভাপতি ভাস্কর চৌধুরী, উত্তরণ সাহিত্য আসরের আলমগীর কবির, কবি আসাদ বাবু, গণমঞ্চ থিয়েটারের সম্পাদক সাইফুর রশিদ মিন্টু, অধ্যাপক কবি এনামুল হক টগর, কবি কামনূর নাহার শিল্পি, সমাজকর্মী শামসুর নাহার বর্না, অভিনেতা ররিউল ইসলাম।
“সাহসী যৌবন আমাদের গর্ব” দলের মূল এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে দীর্ঘ চার দশ পেরিয়ে জেলার অন্যতম এই নাট্য সংগঠনটি ৪১ বছরে পদার্পন করেছে।”মঞ্চের আলোয় আলোকিত হয় বার বার আমরা নই মাথা নোয়াবার” চলতি বছরের এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে নাট্য সংগঠনটি তাদের কার্মসূচি পালন করছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে দলের প্রয়াত সদস্য ও সম্প্রতি সিতাকুন্ডে অগ্নিকা-ে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন। শুভেচ্ছা আলোচনার পরে মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, কবিতা পরিবেশন করেন স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। আমন্ত্রিতদের মৌসুমী ফল দিয়ে আপ্যায়ন ও অতিথিদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন দলের নবীণ প্রবীণ সদস্যরা। বিকালে দলের প্রতিষ্ঠা স্থান শালগাড়িয়ে অশোক স্কুল প্রাঙ্গণ ও দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৃক্ষ রোপনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্ত হয়।