রাজশাহীর বাঘায় পৃথক দুই ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে ও রোববার রাতে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরজনের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের রমজিত হোসেনের ছেলে অরিফুল ইসলাম (৩২) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। স্বামী আরিফুলকে রেখে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। স্ত্রীকে বাড়িতে আসতে বললে সে রাজি হয়নি। এ কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করে। নিজ শয়ন কক্ষে রোববার রাত ১০ টার দিকে সিলিং ফ্যানের সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বাঘা থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মৃত মহব্বত উল্লার ছেলে লিয়াকত আলী (৪০) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১৩ জুন) ভোর সাড়ে ৪টায় দিকে তার বাড়ির পশ্চিমে নিজ বাগানের আম গাছে রশি দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে লিয়াকতের ছোট ভাই আকরাম হোসেন বলেন, ভাবীর কারণে ভাই আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে সংসারে অশান্তিতে ছিল আমার ভাই।
পরে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে লিয়াকতের ছোট ভাই আকরাম হোসেন বাদি হয়ে হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।
বাঘা থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল করিম বলেন, একজনের পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপরজনের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহর কারণে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।