ফরিদপুরে সারাদেশের ন্যায় শুরু হয়েছে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ। ১৫জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রতিটি খানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালী বের হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনার র্যালীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শীলা রানী মন্ডল, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মীনাক্ষী বিশ্বাস, রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
র্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজে তার খানার তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
এর পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের বাসায় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মীনাক্ষী বিশ্বাস বলেন, আগামী ২১ জুন পর্যন্ত গণনাকারীগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে মোট ৩৫ টি প্রশ্ন পত্রের মাধ্যমে জনশুমারির তথ্য আনা হবে।যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শুমারি রাতে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা, প্রবাসী সংখ্যা, খানায় অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকের সংখ্যা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধিতা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন সুবিধা, বাসগৃহের সংখ্যা, অবকাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রাপ্ত খানা, মোবাইল ব্যবহারকারী, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইত্যাদি।
ফরিদপুর জেলায় জনশুমারির সকল আয়োজন সঠিক ভাবে করা হয়েছে। ৩টি জোনাল অপারেশনের মাধ্যমে জোন ভাগ,গড়ে ৮০-১০০ খানার সমন্বয়ে গণনাএলাকা ভাগ করা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গণনাকারী সুপারভাইজার নিয়োগ, জেলা উপজেলা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থায়ী শুমারি কমিটির সভা সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার, গণনাকারী, সুপারভাইজার, আইটি সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। শুমারি কজে সহায়তা করতে আইসিটি বিভাগ, ব্যানবেইজ ও ওয়ালটনের সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত আইসিটি টিমের প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে শুমারির ক্ষণ গণনা থেকে শুরু করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদে প্রচার, বিএনসিসির মাধ্যমে প্রচারণা র্যালী, হ্যান্ডবিল বিতরণ, বিভিন্ন সভা সেমিনারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে প্রচারণা, মাইকিং, লিফলেট, স্টিকার, তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনশুমারির প্রচারণা মূলক নাটিকা ভিডিও প্রদর্শণের মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম করা হচ্ছে।ফরিদপুর জেলায় ফরিদপুর জেলায় মোট ৩ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ০৯ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, ৫২ জন জোনাল অফিসার, ৫২ জন আইটি সুপারভাইজার, ৪৬৮৮ জন গণনাকারী ও ৮২১ জন সুপারভাইজার তথ্য সংগ্রহ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।