জামালপুরের বকশীগঞ্জে পুনরায় ভোট গণনায় জয়ী হয়েছেন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মো: জামাল মিয়া। গত ১৪ জুন মঙ্গলবার জামালপুর আদালতে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। এতে দেখা যায় আগের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মো: জামাল মিয়া নির্বাচিত মেম্বার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের চেয়ে ৭৬ ভোট বেশি পেয়েছেন। এই ঘটনায় বুধবার দুপুরে জামালের সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ ও উল্লাস করেছেন।
জানা যায়,গত ৫ জানুয়ারি বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭ নং মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। জাগিরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হয় ৫ নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ। মেম্বার পদে ভোট গননা শেষে ফরহাদ হোসেন ফুটবল প্রতীকে পান ৪৯৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মো: জামাল মিয়া টিওবয়েল প্রতীকে ৪৮৮ ভোট পান। জামালের চেয়ে ৮ ভোট বেশি পাওয়ায় ফরহাদ হোসেনকে বিজয়ী ঘোষনা করে ফলাফল ঘোষনা করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সরকার লিখিত ভাবে ফরহাদ হোসেন ফর্সাকে বিজয়ী ঘোষনা করেন। নির্বাচনে হারার পর কারচুপির অভিযোগ তুলেন পরাজিত প্রার্থী মো: জামাল। ফলে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে গত ২০ মার্চ জামালপুর সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতে রীট করেন তিনি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গননার আদেশ দেন সিনিয়র সহকারী জজ ইকবাল মাহমুদ। পরে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ও জামালের উপস্থিতিতে ৫ নং ওয়ার্ডের ভোট পুনরায় গননা করা হয়। ব্যালটে সীল আছে কিন্তু প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের স্বাক্ষর না থাকায় জামালের টিওবয়েল প্রতীকের ৬০ টি ভোট অবৈধ এবং ব্যলটে সীল এবং প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের স্বাক্ষর না থাকায় ফরহাদ হোসেনের ফুটবল প্রতীকের ১৪৮ টি ভোট অবৈধ বলে গন্য হয়। এতে জামালের বৈধ ভোট হয় ৪২৭ এবং ফরহাদ হোসেনের বৈধ ভোট ৩৫১। ফরহাদ হোসেনের চেয়ে ৭৬ ভোটে এগিয়ে যান জামাল। সদয় অবগতি ও বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন সেরেস্তাদার বিশ্বজিৎ গোস্বামী।
এ ব্যাপারে মো: জামাল বলেন,আমি ভোটে পাশ করলেও কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছিলো। তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ্য হয়েছিলাম এবং ন্যায় বিচার পেয়েছি।
ফরহাদ হোসেন ফর্সা বলেন,আদালতের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আপিল ডিভিশন যে রায় দিবেন তা মেনে নিবো।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান সরকার বলেন,বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি কিন্তু কোন চিঠি পায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আপিলের সুযোগ রয়েছে। যদি প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী আপিল করেন তাহলে আপিল ডিভিশনের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আপিল ডিভিশনের সিদ্ধান্তের চিঠি পেলে আমরা কমিশনকে অবহিত এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।