মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জমির দখল নিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউপির হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে মো. শাহজালাল মিয়ার (৬০) সঙ্গে একই গ্রামের মোসা. হোসেনে আরা বেগম, জাহাঙ্গীর সিকদার ও মহশিন সিকদার সঙ্গে নাল জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
দলিলমূলে জমির মালিক মোসা. হোসেনে আরা বেগম গং। সেই হিসেবে তারাই মাটি ভরাট করে বিভিন্ন রকমের গাছগাছালি লাগিয়ে ভোগদখল করে আসছেন। গেল পহেলা জুন মো. শাহজালাল মিয়া জায়গা দখল নিতে রাতের আঁধারে ঘর তুলতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২-৩ জন আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান।
এ ঘটনায় পরদিন গজারিয়া থানায় শাহজালাল মিয়া ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার স্ত্রীর মোসা. হোসেনে আরা বেগমকেসহ ৪জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য গত ৬জুন সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষ ডাকলে সালিশ বৈঠক মোসা. হোসেনে আরা গংরা উপস্থিত হলেও প্রতিপক্ষ শাহজালাল মিয়া উপস্থিত না হয় আদালতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মোসা. হোসেনে আরা জানান, হোগলাকান্দি মৌজায় ৫৬৯ নং খতিয়ানে ৬৫ শতাংশের অন্দরে সাড়ে ৬শতাংশের জমির
পৈত্রিক সুত্রে মালিক তিনি। কিন্তু শাহজালাল খরিদ সুত্রে সাড়ে ৬শতাংশ জমির মালিক হয়ে তিনি ৩৫ শতাংশ দাবি করে রাতের আঁধারে ফলজ গাছ স্থাপনা তৈরি করে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের উপস্থিতিতে বৈঠক আমাদের পক্ষে রায় দিলেও প্রতিপক্ষ শাহজালা মানতে নারাজ। বরং মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে জানতে শাহজালাল মিয়ার বাড়িতে গেল তার ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তাকে পাওয়া যায়নি।