জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত নৌকা প্রার্থী অধ্যাপক সেকান্দার আলী জাফরের সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) মনির হোসেন ও তার সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে পরাজিত নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক সেকান্দার আলী জাফরের মেয়ে নামিয়া জাফর নাম্মী বলেন, নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পরেন। তারপর বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন প্রথমে জয়নগর বাজারে আওয়ামী লীগের দুই কর্মীর দোকান বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বিজয়ী চেয়ারম্যান মনির হোসেন নিজে রাম দা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এছাড়াও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর নৌকার সমর্থনকারীরা জীবনের ভয়ে অনেকেই এলাকা ত্যাগ করেছেন। হামলাকারীরা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক বাঘা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজন সরদার, ফালান মোল্লা, কেফায়েত চৌধুরী ও আরিফ সরদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলমগীর মল্লিকের বসতঘরে হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ কর্মী আজিজুল ফকিরের স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজয়ী চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমাকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যে অপপ্রচার করছে। কাজিরহাট থানার ওসি মোঃ জুবায়ের হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলায় ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের মামলায় ৩৩৫ জন আসামি ॥ জেলার হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ত্রুটির অভিযোগ তুলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩৫ জনের নামোল্লেকসহ অজ্ঞাতনামা তিনশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার বাদি কাজিরহাট থানার এসআই আবু ইউসুফ বলেন, গত ১৫ জুন হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নে ভোট হয়। ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে মধ্যপালপাড়া গ্রামের পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথের ইভিএম মেশিনে জটিলতা দেখা দেয়ায় ভোট গণনা বন্ধ রাখা হয়। রাত নয়টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন ঢালীর সমর্থকরা জালিয়াতি করা হচ্ছে অভিযোগ এনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে হিজলা থানার ওসি মোঃ ইউনুস মিঞা, এসআই এবি মোখলেচুর রহমান আহত হন। ঘটনার পর কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।