মুলাদীতে মনির হাওলাদার হত্যার ২৫ দিনেও রহস্যের জট খোলেনি। মামলার প্রধান আসামীসহ অন্যান্য আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাদী ও তাঁর পরিবার বিচার নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় একটি মহল মনির হাওলাদার হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই পারভেজ হাওলাদার ওরফে পাবেল।
জানা যায়, গত ২৩ মে সোমবার রাতে চরকমিশনার গ্রামের সালাম হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারের চোখ তুলে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন মঙ্গলবার ওই এলাকার একটি বিলের মধ্য থেকে পুলিশ মনিরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার ওরফে পাবেল বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করেন। এতে চরকমিশনার গ্রামের গ্রামের মৃত আবুল কালাম ওরফে কলম সরদারের ছেলে কামাল সরদারসহ ২১জনকে আসামি করা হয়।
পারভেজ হাওলাদার ওরফে পাবেল বলেন, আমার ভাই মনির হাওলাদার কিছুটাু সহজ সরল প্রকৃতির ছিলো। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা থাকার কথা নয়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার কামাল সরদারের গরুর খামারে কাজ করেছেন। কয়েক মাস ধরে বেতন না দেওয়ায় কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঘটনার আগের দিন ২২ মে সকালে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে কামাল সরদারকে পেয়ে মনির তাঁর পাওনা টাকা চান। এতে কামাল সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা দিবেন না বলে জানিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে কামাল সরদারের লোকজন মনিরকে থানা পুলিশের ভয় দেখায়। ২৩ মে রাতে মনির বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন এবং ২৪ মে সকালে গলাকাটা ও চোখ উপরে ফেলা মরদেহ পাওয়া যায়।
হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মুলাদী থানা পুলিশ ২৪ মে জামাল মৃধার ও আলম হোসেনকে আটক করেন। পরবর্তীতে আলম হোসনে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনায় পারভেজ হাওলাদার বাদী হয়ে কামাল সরদার, জামাল সরদার, জামাল মৃধাসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে ২১জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাইয়ুম বলেন, মনির হাওলাদার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম মাকসুুদুর রহমান বলেন, হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। শীঘ্রই আসামীদের গ্রেপ্তার এবং হত্যার কারণ জানা যাবে।