রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রোববার (১৯ জুন) সকালে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে নদীর পানি উপচে ঢলের পানি প্রবল বেগে নি¤œাঞ্চলে প্রবেশ করায় এতে পৌরসভা, আতমলী, রূপকারী ও বঙ্গলতলী ইউনিয়নের আশপাশের প্রায় ১০টি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, মাছের ঘের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, এখনো ঢলের পানি প্রবল বেগে নি¤œাঞ্চলে প্রবেশ করা অব্যাহত থাকায় প্রতি মুর্হুতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সদর বাজার প্লাবিত হয়ে অনেক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। বাজারের রাস্তাসহ গ্রামীন রাস্তাঘাট ঢলের পানিতে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। অনেক বাড়ি ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষনে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়ক ও পাহাড়ি এলাকায় মাটি ধসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে বসবাসকারী স্থানীয়দের সতর্ক করে মাইকিং করে সকলকে নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলার ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে পৌরসভার ১নং ওযার্ড মাষ্টারপাড়া, পুরান মারিশ্যা, মধ্যমপাড়ার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রের আসতে শুরু করেছে। তাদের গবাদি পশু পার্শ্ববর্তী উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পৌর মেয়র জমির হোসেন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধার তৎপরতা জন্য নৌকা ও ট্রলার দিয়েছেন এবং সকল ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতায় ব্যাঘাত ঘটছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নীচু জমিতে আবাদকৃত আউশ ধানের বীজতলাসহ গ্রীষ্মকালীন শাখ-সবজী পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রূপকারী ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন চাকমা জানান, রূপকারী ডেবার পাড়ে বসবাসকারী আনুমানিক ৪০ পরিবার বর্তমানে আংশিক পানি বন্দী রয়েছে। অবস্থার আরো অবনতি দেখলে তারা নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন।