আর কিছু দিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রতিটি পরিবারে এবং মৌসুমী খামারীদের খামারে গরু-ছাগল পালন করা হচ্ছে। ঈদ-উল-আযহার এই মুহুর্তে প্রতিটি এলাকায় বৃদ্ধি পায় গরু-ছাগল চুরি। আর এই চুৃরি ঠেকাতে বাসুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান নিয়েছেন ব্যতিক্রম উদ্যোগ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে খামারী ও গরু পালনকারী কৃষকদের গরু যাতে চুরি না হয় সে জন্য গ্রাম পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছে ৬ জন গ্রাম পুলিশ ও ১১ জন আনসার সদস্য। তারাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার আগ পর্যন্ত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার, মোড় বা বাজার এবং বিভিন্ন গ্রামে অবস্থান করবেন। এদিকে গরু চুরি ঠেকাতে গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যের হাতে ট্রসলাইট, বাঁশি এবং একটি করে লাঠি দিয়েছেন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান।
এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকের শেষ সম্বল গরু চুরি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কোন ভাবেই চুরির সূত্র বের করতে পারছেনা প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পবিত্র ঈদ-উল আযহা আসলেই গরু চুরি বেড়ে যায় অনেক হারে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভাতেও আলোচনা করা হয়ে থাকে।
বাসুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, কৃষক এবং খামারীরা অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে গরু-ছাগল পালন করে থাকেন। স্বপ্নের সেই পশু যেন চুরি না হয় সে লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ মোড় সহ বিভিন্ন গ্রামে চুরি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা অবস্থান করার কারণে রক্ষা পাবে গরু-ছাগলের মালিকরা। এতে করে উপকৃত হবেন ইউনিয়নবাসী।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঈদ আসলেই প্রতিটি এলাকায় কুরবানীর জন্য পালন করা পশু চুরি বেড়ে যায়। এরইমধ্যে প্রতিরাতে থানা পুলিশের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল পরিচালনা করে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার লোকজন সতর্ক হলে চুরি রোধ করা সম্ভব।