অতিবৃষ্টির কারণে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি ও স্রােত ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২০ জুন সোমবার শহরের পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থলের পাশ দিয়ে শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে নদীতে তীব্র স্রােত সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্রােত ঠেলে লঞ্চসহ নৌযান চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপাল সাহা, চালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি পরেশ মালাকারসহ অন্যান্যরা বলেন, তীব্র স্রােতে পুরান বাজারের প্রসিদ্ধ মন্দিরের সামনের স্থানের অনেকাংশের ব্লক দেবে গেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এখানকার জনগণ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, পুরান বাজারে ব্লক দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সতর্ক রয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা বাঁধের নতুন বাজার ও পুরান বাজার এলাকা ভাঙনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছি। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি চিহ্নিত করে সার্ভে শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং পাশাপাশি ব্লক ডাম্পিংয়ের কাজও চলছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের কাছে ৩ হাজার বালি ভর্তি বস্তা, ১৩ হাজার সিসি ব্লক মজুদ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক এ. কে. এম. কায়সারুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা ও বরিশাল-চাঁদপুর-ঢাকা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মেঘনা ও পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রােতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় এই নির্দেশনা দিতে হলো।
এদিকে চাঁদপুরের সব মাছ চাষীদের বন্যার আগাম সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, বন্যার পানিতে মাছচাষীদের পুকুর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সকল মাছ চাষীদের উচিত হবে নেট দিয়ে পুকুর ঘিরে রাখা। দেশের অন্যান্য জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবস্থার আলোকে চাঁদপুরেও মাছচাষীদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।