মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী এরিয়ায় কয়েকটি গ্রাম ভাঙার কবলে।
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে আশাবাদী,ইসমানিচর, গোয়ালগাও গজারিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট, নয়ানগর, ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর কালিপুরা এলাকা প্রতিদিনই ভাঙাছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় গজারিয়ার মানচিত্র থেকে ছোট হয়ে যাচ্ছে কয়েকটি গ্রাম একদিকে নদীর ভাঙান আরেকদিকে বন্যার পানি বাড়ছে সেই কারণে নদীর ঢেউ পারে সে সজোরে ধাক্কা দিলে পার ভেঙে পড়ছে।
অনেক জায়গা দিয়ে বাঁশ দিয়ে বালির জিপিও ব্যাক দিয়ে ভাঙ্গুন রক্ষা করতে চাচ্ছে কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না গ্রামবাসীর।
যদিও একটি নদীর পাশ দিয়ে গাইড ওয়াল এর কথা ছিল তারও কোনো নজির দেখছে না গ্রামবাসী তাই গত কয়েকদিন আগে কয়েকশো গ্রামবাসী মিলে মানববন্ধন করেছে।
তাদের একটি দাবি তারা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে চায় যদি গাইডওয়াল না হয় তাহলে গজারিয়ার মানচিত্র থেকে কয়েকটি গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ভাঙান এলাকা পরিদর্শন করতে গতকাল গিয়েছিলেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, তিনি বলেন আজ থেকেই বাঁশ দিয়ে বালির জিপিও ব্যাগ ফালানো হবে।
গ্রামের মানুষগুলো বলছেন তাদের পিতা-মাতার সম্পদ কিভাবে রক্ষা করবে তারা কোন প্রকারেই ভাঙ্গন থামছে না
অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে তারা মনে করেছিল হয়তো বা গাইডওয়াল হলে ভাঙ্গন থেমে যাবে কিন্তু কী কারণে এই গাইডওয়াল হচ্ছে না তার উত্তর দিতে পারছে না
জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না ভোট আসলে প্রতিশ্রুতি দেয় আবার ভোট চলে গেলে আর খবর থাকে না
একদিকে সংসার চালাতে হয় আবার আরেক দিকে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া টাকা জুখাতে হয় এদিকে তাদের যে স্বপ্ন শেষ মাথা গুজার জায়গা সেটিও কেরে নিচ্ছে মেঘনা নদী।