নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিপদজ্জনক অবস্থায় গুলজার বোর্ডিং ( ইজহার বোর্ডিং)। এ ভবনটি অতি পুরনো হওয়ায় দেয়াল খসে রড বের হয়েছে। সচেতন মহল আশঙ্কা করছে বোর্ডিংটি যে কোন সময় ধ্বসে পড়ে প্রতিবেশীর ক্ষতিসহ প্রাননাশের ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়,১৯৬৩ সালে ওই বোর্ডিং নির্মিত হয়। এরপর সেখানে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শাখা ভাড়া নেয়। দেশ স্বাধীনের পর ওই ব্যাংক ভবনটি ছেড়ে দেয়।
১৯৭৭ সালে গুলজার বোর্ডিং নামে রেস্ট হাউজ চালু হয়। এটির মালিক ছিল দুই জন। ইজহার আহমেদ ও ইবরার আহমেদ।
২০০৫ সালে ইজহার আহমেদ ওই ভবন সকল অংশীদারের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। তারপর ঠিকঠাক ছিল সবই। এরপর ইজহার আহমেদ মৃত্যুবরণ করলে তার ছেলে পারভেজ আলম মুন্না বাবার বাটোয়ারা মানতে রাজি না। তিনি পুরো ভবন নিজের দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এরই মধ্যে ভবনটির দেয়াল খসে পড়া শুরু হয়। দেয়াল খসে বের হয়েছে লোহার রড। ধারনা করা হচ্ছে ভবনটি দুর্বল হয়েছে। যে কোন সময় এটি ধ্বসে গিয়ে প্রানহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ভবনে আবার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ি জীবিকা নির্বাহ করছে। তারাও অনেকটা আতংকের মধ্যে সেখানে ব্যবসা করছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে গুলজার আহমেদ জানান,প্লটটির নং- হল - এ। আর এ প্লটটি বরাদ্দ হল শরিফ উদ্দিনের নামে।
ভবনটি পুরো অংশ দাবি করে পারভেজ আলম মুন্না। তার একতরফা এবং অন্যায় দাবি অংশীদাররা কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি। পরে সে এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে যায়।
এদিকে সচেতন মহল বলছে ভবনটি যদি হঠাৎ করে ধ্বসে পড়ে কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটে তার দায়ভার কে নেবে।
বাংলাদেশ কৃষকলীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবদুস সবুর আলম জানান,ভবনটি আসলে বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত ভবনটি পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া।
পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন ভবনের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছি।