আগামী ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও জনসভা সফল করতে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ জুন) সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দূর্নীতিগ্রস্থ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ড. মোহাম্মাদ ইউনুস এই পদ্মাসেতু নিয়ে অনেক মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করেও তারা সফল হতে পারে নাই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও জনসভাকে সফল করতে আমি নেতাকর্মীদের আহবান জানাই। সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাদুর রহমান আজাদ মুন্সী, সহ-সভাপতি সিরাজ ফরাজি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান লতিফ, ইরশাদ হোসেন উজ্জ্বল, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বাবুল আক্তার।
এছাড়াও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউসুফ মোল্লা, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী, রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেকান্দর আলী, শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ মুন্সি, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রোকসানা ছুটি, যুবলীগের সভাপতি আতাহার সরদার, কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন হাওলাদার, রাজৈর পৌরসভার মেয়র আওয়ামী লীগের নেতা নাজমা রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিরাজ খান, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বর্ধিত সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু কাজল কৃষ্ণ দে। অনুষ্ঠানের জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। এ ছাড়া অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।