রংপুরের পীরগাছায় জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন রশিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি (৩৮)। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মোংলাকুটি পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বড় মেয়ে রাফিয়া আক্তার জিম (১১) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৯) ও ছোট মেয়ে জুঁই আক্তার (৭) ও হত্যাকারী পিতা রশিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার জেসমিন আক্তারের পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্ত্রী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল রশিদুল ইসলামের। রোববার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন রশিদুল। এতে বড় মেয়ে রাফিয়া আক্তার জিম ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহত রাফিয়া আক্তার কৈকুড়ী মধ্য পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ সময় গুরুতর আহত হয় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছোট মেয়ে জুই আক্তার। এরপর রশিদুল ইসলাম নিজে বিষপান করে নিজের গলা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেন। রশিদুল ইসলাম ওই গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রশিদুল, স্ত্রী জেসমিন ও অপর মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে রশিদুল ইসলাম পুলিশ পাহারা এবং তার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে রশিদুল ইসলামের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রশিদুল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।