ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে আমীরের ব্রীজ সংলগ্ন প্রধান সড়কের ঢালে নদী পারে সরকারি হালুট জমির প্রায় ১৩ শতাংশ জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ হাকিমের দুই পুত্র শেখ কাইয়ুম (৪৮) ও শেখ মামুন (৪২) মিলে প্রভাব প্রতিপত্তির জোরে সরকারি জমি দখল করে মার্কেট নির্মান করে চলেছে বলে অভিযোগ। গত ১৫ জুন এসব সরকারি জমি দখলদারিত্বর বিরুদ্ধে একই গ্রামের মৃত শেখ গেন্দু এর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন। তারপরও দখলদারদের মার্কেট নির্মান কাজ বহাল রয়েছে। এর কিছুদিন আগে ওই সরকারি জমির উপর গড়া আরেক ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমানের দোকান আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর তিনিও পূনঃবার দোকান ঘর নির্মান করেছেন। তার দেখাদেখি এলাকার বিত্তশালী মামুন ও কাইয়মূ দুই ভাই মিলে ক’দিন ধরে প্রায় ১৩ শতাংশ সরকারি জায়গা জুড়ে মার্কেট নির্মান করে চলেছেন বলে অভিযোগ।
অবশ্য, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দখলদার শেখ কাইয়ূমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ দু’বছর আগে উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এ ভুবেন্বশ্বর শাখা নদ ড্রেজিংকালে আমার ২৬ শতাংশ জমি খনন করে ¯্রােতের গতিপথ সোজা করা হয়েছে। তাই আমি সরকারি খাস জমি ভরাট করে মার্কেট নির্মান করে চলেছি”।
একই দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, “ দখলদার শেখ কাইয়ুম ও শেখ মামুনদের ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমিগুলো নদীর অপর পারে। তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলদারিত্বর অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, উপজেলা সদরের আমীরের ব্রীজের উত্তর পাশে মেইন রাস্তার ঢাল অংশ সহ নদী পার এলাকার ০১ নং খাস খতিয়ানের ২২৯৬ নং হাল দাগে প্রায় ৮০ শতাংশ সরকারি জমি রয়েছে। ওই জমি অসহায় ভুমিহীন হিসেবে অভিযোগ দাখিলকারী মোঃ নজরুল ইসলাম ও তার পূর্ব পুরুষরা কৃষি শষ্য উৎপাদন করে জীবিকা অর্জন করতেন। কিন্তু সম্প্রতী এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহল একের পর এক নদী পারের খাস জমি দখল করে নিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত ক’দিন ধরে দখলদার কাইয়ূম ও মামুন দুই ভাই মিলে মেইন রাস্তার ঢাল অংশের নদীর পারে প্রায় ১৩ শতাংশ সরকারি জমি ট্রাক ভর্তি মাটি কিনে নিয়ে ভিটি বাঁধার পর মার্কেট নির্মান করে চলেছেন। এ ব্যপারে উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান বলেন, “ অনেক আগে থেকেই ওই সরকারি জমিতে শেখ কাইয়ুম ও শেখ মামুনদের ঘর ছিল। সেই সূত্রে মনে হয় তারা মার্কেট নির্মান করছে”।
মঙ্গলবার ওই সরকারি জমির পাশের বসতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা জানান, “ অনেক দিন আগে থেকে এ সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মানের জন্য স্থানীয় দখলদাররা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিছুদিন আগে প্রশাসন একবার দোকান ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করে রেখেছিল, এখন আবার দেখছি মার্কেট নির্মান কাজ চলছে, আসলে কোনো রহস্যই বুঝতেছিনা”।