ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ব্যানিজ্য শাখার ছাত্রী মিতু আক্তার (২৩) আত্মহত্যার ঘটনায় প্রেমিক শিক্ষকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ছাত্রীর ছোট ভাই ফাহিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে পাগলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের দীঘা দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল করিম ও তার স্ত্রী শিউলী আক্তার, স্বজন বাবুল মিয়া, হুমায়ুন ও আতাউর। নিহত কলেজছাত্রী মিতু আক্তার উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের মুখি মধ্যপাড়া গ্রামের তাঁরা মিয়ার মেয়ে এবং শিক্ষক আবদুল করিম একই এলাকার জাহেদ আলী শেখের ছেলে।
পাগলা থানা ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কলেজছাত্রী মিতুর সঙ্গে প্রতিবেশি মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুল করিমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে মিতু আক্তার তাঁর মা শেফালী খাতুনকে নিয়ে বিয়ের করা দাবিতে প্রেমিক আবদুল করিমের বাড়িতে যান। এ সময় আবদুল করিম প্রেমিকা মিতুকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তাদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কির হয়। এ সময় আবদুল করিমের স্ত্রী শিউলী ও তার স্বজনরা মিতুকে মারধর করে টেনে হেঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে লজ্জা ও অপমানে কাউকে কিছু না বলে সে গোপনে বাড়ি থেকে বের হয়ে মুখি মধ্যপাড়া মিলন বেপারীর বাড়ির পাশে কড়ই গাছের ডালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।