কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ভাংছে নদী। গত ২৪ ঘন্টায় ৫০ বাড়ি বিলিন হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
উজানে পানি কমতে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নদী সোনাভরির পানি কমেছে। ফলে চর রাজিবপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নের অনেক গ্রাম থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু পানি কমার সাথে সাথে নদী কবলিত গ্রাম গুলো প্রচন্ড ¯্রােতের কারণে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন।
কোদাল কাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান,গত ২৪ ঘন্টায় তার ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর ও উত্তর কোদালকাটির ৩০ ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। তিনি আরও জানান,বন্যার পানি কমতে থাকায় নানা রোগ বালাই দেখা দিয়েছে বন্যার্তদের মাঝে।
মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, পানি কমলেও তার এলাকার বিভিন্নচরে হাজারো বাড়ি ঘর পানিতে ভাসছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।বন্যার পানির ¯্রােতে তছনছ হয়েছে শতাধিক বাড়ীঘর। বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী মহোদয় ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমার এলাকা পরিদর্শণ করে গেছেন।
এদিকে রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস জানান,তার ইউনিয়নের করাতীপাড়া, মুন্সিপাড়া ,বদর পুর, ফাটকপাড়া ,কেচোঁমারীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে এখনও পানি নেমে যায়নি। পানি বন্দি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট অনেক বাড়িতে দেখা দিয়েছে জ¦রও ডায়েরিয়াসহ পানি বাহিত রোগ।
চর রাজিবপুর কুষি অফিস সুত্রে জানা গেছে ,বন্যায় উপজেলার ১৮৫০ হেক্টর পাট,১৭৫ হেক্টর আউশ ধান ,৫০ হেক্টর শাকসবজি এবং ২০ হেক্টর মরিচের জমি বন্যার পানিতে তুলিয়ে গেছে। এছাড়া,পুকুর তলিয়ে গেছে শতাধিক।
চর রাজিবপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানান,বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিল থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।