প্রতিটি সংগ্রহশালা যেকোন মানুষকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। আর এই সংগ্রহশালারটির নাম বাংলাদেশ পুলিশ যাদুঘর। এখানে ব্রিটিশ পুলিশ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ পর্যন্ত তাদের পোশাক, যুদ্ধ সরঞ্জাম, অস্ত্র, পুলিশের পদবি, রণকৌশল তুলে ধরা হয়েছে। দেশের প্রথম এই পুলিশ জাদুঘরটি যে কেউ দেখতে আসলে এখানে অনেক মনি-মুক্তা খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবেন দর্শনার্থীরা।
বুধবার (২২ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় দেশের প্রথম পুলিশ জাদুঘর উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন। উদ্বোধনের পর পরই জাদুঘরে রাখা পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
আইজিপি আরও বলেন, এখানে বৃটিশ আমল থেকে পুলিশের ক্রমবির্বতন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় সংযোজিত করা হয়েছে। যে কেউ ১০-১৫ মিনিট সময় দিলে এই মিউজিয়ামে অনেক মনি-মুক্তা খুঁজে পাবেন তারা।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, বৃটিষ আমলের সাত কক্ষবিশিষ্ট একটি প্রাচীন ভবনকে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম জাদুঘর হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। যাদুঘরটি সাতটি গ্যালারীতে ভাগ করা হয়েছে। এই গ্যালারি গুলোতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
পুলিশের এরকম একটি জাদুঘর তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া লালমনিরহাট পুলিশকে তথা লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি
আবিদা সুলতানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে পুলিশের এমনি একটি সংগ্রহশালা দেখে আজ আমি আবেগাপ্লুত বলে বলেন তিনি।
পাশের আর একটি ভবনে শিশু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে জাদুঘর ও শিশু কর্নারটি সাধারণের প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি আবিদা সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূইয়া, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, রংপুর মেট্রোপলিন।