প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। হাকালুকি হাওড়ে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার ক্রমশ অবনতি হয়েছে। এই দুই উপজেলায় প্রায় ৯০ কি.মি আঞ্চলিক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। বন্ধ হয়েছে ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি মাদ্রাসা। এই দুই উপজেলায় ৬২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। অপরদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে আরও ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১ লাখ লোক। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জুড়ী ও বড়লেখা কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ লোক এখনও পানিবন্দি। তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড় তৎপরতা চলছে। উপদ্রুত এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার সহ ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩ টা পর্যন্ত পূববর্তী ২৪ ঘন্টায় মৌলভীবাজারে ১২২ মিলি লিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।