পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভাধীন “সাঁথিয়া ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের”এসএমসি‘র (স্কুল ম্যানেজিং কমিটি) কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া ফকিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএমসি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরিপত্র যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। অভিভাবকদের অবহিত না করে অতি গোপনে,সুকৌশলে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক না হয়েও অভিভাবক সদস্য হয়েছেন। দাতা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। এই নিয়মবহির্ভূত কমিটি গঠনের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে নিয়মবহির্ভূত এই এসএমসি‘র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে বিধি অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠনের দাবী তাদের।
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান,কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এলাকাবাসী এবং অভিভাবক কেউ জানে না। শুনছি একই ব্যক্তি দুইটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়েছে। সাঁথিয়ার প্রানকেন্দ্রে পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ডের সরকারী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোর অবস্থা খুবই খারাপ। একটি টিনের কাঁচা ঘরে চলছে প্রায় আড়াইশ ছেলে মেয়ের পাঠদান। অবকাঠামোর উন্নয়ন হওয়া দরকার।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য রুহুল আমিন মাষ্টার জানান,কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে অনিয়ম করা হয়েছে। অভিভাবক সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নেই এমন মানুষকে অভিবাবক করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকৌশলে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে আছে। সরকারী অনুদানের টাকাসহ যে সকল আর্থিক সুযোগ সুবিধা এ প্রতিষ্ঠানে আসে তার যথাযথ ব্যকহার করা হয় না। তার প্রমান স্কুলে গেলেই আপনারা পাবেন।
বিদ্যালয়ের জমি দাতা আবদুল আজিজ জানান,এই প্রতিষ্ঠানে আমি অঠারো শতাংশ জমি দিয়েছি অথচ কাকে দাতা সদস্য করা হলো আমি জানি না।
সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার জানান, কমিটি শিক্ষা কমিটিতে পাশ হয়েছে। কমিটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। একই ব্যাক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এটা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন জানান, ফকিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি‘র কমিটি শিক্ষা কমিটিতে পাশ হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি কোন অনিয়ম হলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কমিটি গঠনের পরিপত্র যথাযথ অনুসরন করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসএমসি’র কমিটি গঠন করা হয়েছে।