পুঠিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা,অফিস সহকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর এই অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ছোট কর্মচারিরা। ১৫ জুন অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়দগুলো তুলে ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মচারিদের গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র স্থানীয় সাংসদ, বিভাগীয় পরিচালক, জেলা সিভিল সার্জন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন। কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান নানা অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়টি শিকার করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুর মতিন, প্রধান সহকারী আবদুল মান্নান এবং ক্যাশিয়ার আমিনুল হক মিলে প্রায় দুই বছর থেকে কর্মচারীদের নামে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের কোটি টাকার উপর লুটপাট করছে। তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকৃত করোনা কালিন সেবা প্রদানকারীদের বিশেষ প্রনোদনার সকল অর্থ তারা আত্মসাৎ করেছে। কর্মচারীদের কোনো প্রনোদনার টাকা দেয়নি। এ ছাড়া ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সরাসরি টিকাদানে অংশ গ্রহণকারীদের কাজের সকল ভাতার অর্থ এখনো পর্যন্ত দেননি। তারপর, সরকার গৃহিত খুদ্র ডাক্তার কার্যক্রম,বিভিন্ন ট্রেনিং,টিকাদান,ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনের বরাদ্দকৃত টাকা রয়েছে। ফারুক হোসেন নামের অপর একজন স্বাস্থ্য সহকারি বলেন,কর্মচারিরা বেতন ভাতার টাকা তুলতে গেলে অফিস সহকারী ও হিসাব রক্ষকরকে কিছু টাকা না দিলে, বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখায়ে বেতন ভাতা উঠাতে বাধা সৃষ্টি করে থাকেন। এমনকি তাদেরর অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে হলেও অনুমতি নিতে হয়। এ বিষয়গুলো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রকার কাজ হয়নি। যারজন্য,বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্মচারিদের গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ স্থানীয় সাংসদ, বিভাগীয় পরিচালক,জেলা সিভিল সার্জন, দুর্নীতি দমন কমিশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান সহকারী আবদুল মান্নান ও ক্যাশিয়ার আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সংবাদপত্রে কোনো প্রকার বক্তব্য দিবেন না বলে জানান। তবে বিষয়টি একটি ভুল বুঝাবুঝি বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুর মতিন বলেন,কর্মচারীদের নামে কোনো বরাদ্দই আমি আত্মসাৎ করিনি। সকল টাকা অফিসেই আছে। তাদের বলা হয়েছে। যখন ইচ্ছে নিয়ে যেতে পাড়ের। তবে কিছু প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা এখনো আসেনি। তিনি বলেন, ভুক্তভোগিদের অভিযোগ আমার উপর নয়, প্রধান অফিস সহকারি ও হিসাব রক্ষকের উপর। তারা লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানিমূলক ভাবে আামাকে জড়ায়েছেন। কর্মচারীদের বেতন-ভাতার টাকা উঠানোর কমিশনের বিষয়ের প্রশ্ন করা হয়ে তিনি বলেন,সারা দেশের সকল দপ্তরে একই অবস্থা বিরাজ করছে। কমিশনের অর্থ এই অফিসের লোকজন একা নেয় না, সেটা উপরেও পাঠাতে হয়।