পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় এসে কেউ যদি অসুস্থ পড়েন তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ারন জন্য ফরিদপুর থেকে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল দল রওনা হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চারটি মাইক্রোতে করে এ দলের সদস্যরা ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরের সামনে থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ফরিদপুরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল।
এ কার্যক্রম সমন্বয় করছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বচিপ) ফরিদপুর ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ফরিদপুর।
এ দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুর ও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি, মেডিসিন, সার্জারি ও অর্থো-সার্জারি বিভাগের ছয়জন কনসালটেন্ট, ১০ মেডিকেল কর্মকর্তা, ১০ স্টাফ নার্স ১০জন এবং চার জন অফিস সহায়ক।
মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ঘাটে পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জনসভায় ১০ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এজন্য মাদারীপুরের সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধনে ৪০ শয্যার একটি হাসপাতাল ও বড় আকারের তিনটি মেডিকেল দল কাজ করবে। মাদারীপুর ছাড়াও ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুরের চিকিৎসক, নার্স ও অফিস সহকারীদের সহায়তায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এরই অংশ হিসেবে ফরিদপুর মেডিকেল দল শিবচর যাচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ফরিদপুরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল বলেন, ফরিদপডুর থেকে যাওয়া মেডিকেল দলটি প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবে। এরপর তাদের হাসপাতালসহ ওই তিনটি দলে ভাগ হয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।