রংপুরের পীরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এ যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকটি পরিবার। প্রকল্পের যাতায়াতের পথে হাঁটু পানি দেখে ধিরে ধিরে ভুমিহীন পরিবারের লোকজন বড়িঘর ছেড়ে সটকে পড়ছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায়,শানেরহাট ইউনিয়নের দামোদরপুর আশ্রয় প্রকল্প-২ এর অধীনে গত ৩ বছর আগে ৪০ টি টিন সেডের ঘর নির্মান করে দেয়া হয়। অই ইউনিয়ানে ৪০ টি পরিবার সরকারের দেওয়া উপহার ঘর পেয়ে খুশি হয়ে নতুন সংসার জীবন শুরু করে। বর্তমানে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা দেখে অনেকেই বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরনাপদ স্থানে চলে গেছেন। শানেরহাট দামোদরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসীন্দা মেনারুল ইসলাম বলেন শুরুতেই সুবিধাভোগী পরিবারগুলো ঘর পেয়ে আনন্দে বসবাস করতে থাকে। বর্ষা মৌসুমে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের চারদিকে পানি থৈ থৈ করে এবং ঘরে উঠানে পানি ঢুকে পড়ে। এতে করে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিও পানির নিচে তলিয়ে যায়। যে কারণে ওই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসকারি ১৫ টি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঘর ছেড়েছেন মোজাফফর হোসেন। তিনি জানান ভুমিহীন হলেও পানির মধ্যে বসবাস করতে পারবো না। পরিবারের ছোট ছোট শিশু বাচ্চা রয়েছে। বিপদ বুঝে সরে পরেছেন তিনি। ৪০ টি ঘরের পিছনে ও রাস্তায় বছরের ৬ মাস পানি জমে থাকে। এতে করে ঘরের মাটি ধসে পানিতে পড়ে। ঘরের ভিতর প্রায়ই সাপ প্রবেশ করে। তাছাড়াও দায়সারা ভাবে গোজামিল দিয়ে সেই সময়ে ঘর নির্মানের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টি এম এ মমিন তৈরী করে দেন চলাচলের রাস্তাটি। এছাড়াও অই কেন্দ্রে ৬ টি টিউবওয়েল এক সাথে এতোগুলো পরিবারের লোকজন ব্যবহার করতে অনেকটাই অসুবিধে হয়। উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এদের কোন খোঁজ খবরই নেন না। অপরদিকে চতরা ইউনিয়নের চন্ডিদুয়ার আশ্রয় কেন্দ্রের ছিদ্দিক মিয়া বলেন, গত ২ বছর আগে ২২ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে চন্ডিদুয়ার গ্রামে। এসব বাড়িঘরে যাতায়াতের জন্য যাতায়াতের জন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে না। ভুমিহীন পরিবারের লোকজন অনেকেই ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। যোগাযোগের রাস্তা না থাকার কারণে অসহায় পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করছেন। শানেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান বলেন বর্ষা মৌসুমের কারণে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের রাস্তায় মাটি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমে গেলে মাটি দেওয়া হবে। চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, আশ্রয়ণ কেন্দ্রের লোকজনদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ কনে দেয়া হবে। এছাড়াও চন্ডিদুয়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের পিছনে গাইড ওয়ালের কাজ শুরু হয়েছে। ওই কাজগুলো শেষ হলে ভুমিহীনদের আর দুঃখ কষ্ট থাকবে না।