ময়মনসিংহের ভালুকায় এক পিতা টাকার জন্য তার সৎ মেয়েকে খুন করে লাশ গুম করার ১০ দিন পর মাটি চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান.কুরিগ্রামের ওলিপুর থানার দিঘলহাইল্লা গ্রামের শফিকুল একই এলাকার বিধবা মাহমুদা বেগমকে দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। শফিকুল তার স্ত্রী মাহমুদা ও মাহমুদার আগের স্বামীর ঘরের কন্যা মিনু আক্তার (১৪) সহ ভালুকার মাস্টারবাড়ীতে ভাড়ায় বাসা নিয়ে থাকতেন। শফিকুল ভাংগারীর ব্যবসা করতেন এবং স্ত্রী মাহমুদা চিটাগং একটি ফ্যাক্টরী কাজ করেন। মাহমুদা মাঝে মধ্যে ভালুকার মাস্টারবাড়ী স্বামী কাছে আসতো এবং মেয়ের খোজখবর নিতেন। মাহমুদা বেগম দেড়লাখ টাকা জমিয়ে ছিল মেয়ে মিনুকে বিয়ে দেয়ার জন্য। গত ৭ জুন সেই দেড়লাখ টাকা ব্যবসার কাজের জন্য শফিকুল তার স্ত্রী নিকট ধার চেয়েছিল কিন্তু টাকা না দিয়ে ওই দিনই স্ত্রী মাহমুদা তার কর্মস্থল চিটাগাং চলে যায়। পরে শফিকুলের বন্ধু রিপনের নিকট যুক্তি করে মেয়েকে শেষ করে দিলে ওই টাকা পাওয়া যাবে। গত ৮ জুন রাতে বন্ধু রিপনের সহযোগীতায় শফিকুল ঘুমন্ত অবস্থায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে মিনুকে হত্যা করে মাস্টার বাড়ী এলাকায় একটি প্রস্তাবিত কারখানার ভিতর মাটির নিচে পুতে রাখে। ২৩ জুন ওই লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ২৫ জুন ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুরিগ্রামের নিজ বাড়ী থেকে ঘাতক শফিকুলকে গ্রেফতার করে। শফিকুল হাত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন।