পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে সরকার নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে অবাধে চলছে মা ও পোনা মাছ নিধনের উৎসব চলছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগের নীরব ভূমিকায় এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি সরকারি নিষিদ্ধ জালে মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব চালিয়েছে। এভাবে মা ও পোনা মাছ নিধন চলতে থাকলে ভরা মৌসুমে এলকায় বড় মাছের আকাল দেখা দেওয়ায় আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে,আকস্মিক বন্যার পানিতে মাছ চাষের পুকুরসহ সব ধরনের জলাশয় তলিয়ে যায়। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে চলনবিলের নি¤œাঞ্চল। আর এই মাছ নিধনের জন্য এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি সরকারের নিষিদ্ধ চায়না,কারেন্ট,বেড় ও মশারি জাল দিয়ে দিনরাত মাছ নিধন করছে। এসব জালে বড় মাছের তুলনায় বেশি আটকা পড়ছে পোনা মাছ। এগুলো বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে অবাধে। শনিবার চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। বিশেষ করে চায়না জালের ব্যবহার করা হচ্ছে অবাধে। একইসাথে হাট-বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে চায়না ও কারেন্ট জাল।
এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধনের উৎসবে মেতেছে। এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগ উদ্যোগ না নিলে এলাকায় মিঠা পানির মাছের আকাল দেখা দেবে বলে জানান ঐলাকাবাসী।
সরকার নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুজিত কুমার মুন্সির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।