আমাদের সারা দিনের রুটিনমাফিক কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘুম। সঠিক নিয়মে না ঘুমানোর কারণে অনেকেই আমরা ব্যথার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারি। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের মেরুদ- অনেক কাজ করে। মেরুদ-কে সজীব রাখার জন্য এর প্রয়োজনীয় উপাদান রক্তের মাধ্যমে পেয়ে থাকে শরীর।
আমাদের ঘুমের সময় যদি মেরুদ-ের ও শরীরের অন্যান্য সংযোগস্থলে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় না থাকে, তাহলে মেরুদ-ের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। যার ফলে মেরুদ-ের হাড়, কশেরুকা, মাংসপেশি ও লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় শরীরে ব্যথার সমস্যা তৈরি হয়।
সঠিক ঘুমের পদ্ধতি
♦ ঘুমের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের হাত-পা ও মেরুদ-ের অবস্থান সঠিকভাবে থাকে।
♦ একটি সাধারণ কৌশল হলো, ঘাড়ের নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমানো। আমরা অনেকেই মাথার নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত। এর ফলে আমাদের সার্ভাইক্যাল মেরুদ-ের হাড়গুলো বাঁকা হয়ে থাকে। দীর্ঘমেয়াদে এ অবস্থা চলতে থাকলে আস্তে আস্তে ঘাড় এবং পিঠের ব্যথা হতে পারে।
♦ যদি চিত হয়ে ঘুমাতে হয়, তাহলে হাঁটুর নিচে একটি বালিশ দিলে ভালো হয়।
♦ কাত হয়ে ঘুমালে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ বা কোলবালিশ ব্যবহার করা উত্তম।
♦ ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত শক্ত ম্যাট্রেস বা অতিরিক্ত নরম ম্যাট্রেস ব্যবহার করা ঠিক নয়।
♦ মাঝারি ধরনের নরম ও মেডিকেটেড ম্যাট্রেস ব্যবহার করা উত্তম। যাঁরা ম্যাট্রেস ব্যবহার করেন না তাঁরা স্বাভাবিক তোশকে ঘুমাতে পারেন।
♦ ফ্লোরে বা কাঠের ওপর ঘুমানো উচিত নয়।
দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যথা নিরাময়ে সঠিক ঘুমের পদ্ধতি
এই ব্যথা নিরাময়ে সঠিক ঘুমের পদ্ধতি খুবই কার্যকর। মাথা ও গলার সঠিক অবস্থান না থাকার কারণে মাথার চারপাশে যে মাংস বেশি হয়েছে, সেগুলোতে চাপ পড়ে। দীর্ঘমেয়াদি এ ধরনের চাপ চলতে থাকলে একসময় মাথা ব্যথা শুরু হয়। এ ধরনের মাথা ব্যথা নিরাময়ে সার্ভাইক্যাল পিলো ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. আহাদ হোসেন চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন কাঁটাবন, ঢাকা।