একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাত ও অন্যান্য গর্ভকালীন জটিলতার ঝুঁকি বেশি থাকে প্রথম ত্রৈমাসিক সময়ে, তাই এই সময়ে মাকে সবচেয়ে বেশি যতœবান হতে হবে নিজের খাদ্যাভ্যাস ও বিশ্রামের প্রতি।
♦ শুধু গর্ভকালীন সময়ের তিনটি ধাপেই নয়, মা হতে চাওয়ার জার্নিটা শুরু হওয়া উচিত গর্ভধারণের ছয় মাস আগে থেকে। একজন অপুষ্ট মা কখনোই একজন পুষ্ট-সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দিতে পারেন না। বরং নিজেই সম্মুখীন হন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
♦ আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকলজিস্টের রিসার্চের ফলাফল বলে, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস মা ও শিশু উভয়ের সুস্থতার জন্য ফোলেট, আয়রন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন বি১২ এবং ক্যালসিয়ামজাতীয় পুষ্টি উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজন।
♦ গর্ভস্থ বাচ্চার মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের রোজকার খাদ্য তালিকায় থাকবে ‘দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য, ডাল, সয়াবিন, বাদাম, মিষ্টি আলু, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, লালশাক, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, রেড মিট, ড্রাই ফ্রুটস, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি, হোল গেইন শস্য বা ভুসিসমেত আটা, গম অর্থাৎ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, ফল ও প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানীয়।
♦ তবে অবশ্যই আনারস, কাঁচা পেঁপে, টেস্টিং সল্ট, অপাস্তুরিত দুধ, কাঁচা সবজি, আধা সিদ্ধ ডিম বা মাংস, অ্যালকোহল, সোডা ওয়াটার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মা হওয়ার পুরোটা জার্নিতে আপনার চাহিদার অতিরিক্ত খাবার দরকার নেই, শুধু দরকার পুষ্টিকর খাবার। উপযুক্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধি না করেও গর্ভাবস্থায় আপনি পারবেন নিজেকে ও গর্ভস্থ শিশুকে সুস্থ রাখতে।
পরামর্শ দিয়েছেন শায়লা শারমীন সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, ঢাকা।