বন্যা আসার আগেই শুকনা খাবার চিড়া, মুড়ি-খই, হাই প্রোটিনযুক্ত বিস্কুট, দিয়াশলাই, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ফিটকিরি, মশার কয়েল, দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পলিথিনে মুড়িয়ে ভালো করে রেখে দিন।
♦ গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের উঁচু স্থানে রাখার ব্যবস্থা করুন। বন্যার পানি ওঠেনি এমন কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে তাদের রেখে আসতে পারেন।
♦ শিশুদের বন্যার পানিতে খেলতে দেবেন না।
♦ অনেক মৃত প্রাণী পচে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ মাটির তিন মিটার নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। খালি হাতে মৃতদেহ ধরবেন না।
♦ গ্যাসলাইন ও বিদ্যুৎলাইন বন্ধ করে দিন। বাড়িতে ফেরার পর এগুলো ঠিক আছে কি না তা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করুন।
♦ টিউবওয়েলের মুখ পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিন। পানি নেমে যাওয়ার পর নলকূপের
পরিষ্কার পানি না আসা পর্যন্ত পানি চেপে ফেলে দিন।
♦ নানা অসুখের কারণ হতে পারে বন্যার পানিতে কার্পেট, ঘর, বিছানাপত্রসহ অন্যান্য ডুবে যাওয়া আসবাবে জন্মানো ছত্রাক। পানি নেমে যাওয়ার পর ছিদ্রযুক্ত বা স্পঞ্জি জিনিসপত্রগুলো যেমন কার্পেট ফেলে দিন।
♦ বাড়ির দেয়ালগুলোয় জমে থাকা শেওলা শক্ত ব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে সেগুলো সাবান পানিতে রেখে ফেলে দিন। এরপর দেয়াল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক গ্যালন পানিতে এক কাপের এক-চতুর্থাংশ ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দ্রবণ তৈরি করার পর সেই দ্রবণ দেয়ালগুলোতে দিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
♦ বাসার সব কাপড়চোপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
♦ আসবাব যেগুলো ফেলে দেওয়া সম্ভব সেগুলো ফেলে দিন, না হলে রোদে কয়েক দিন ধরে শুকানোর পর ব্যবহার করতে পারেন।
লেখক : কনসালট্যান্ট ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গুলশান-২, ঢাকা।