রংপুরের তারাগঞ্জের ডাংগীর হাট বাজারে নির্মানাধীন মার্কেট ভবনের সেফটিক ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে রবিউল ইসলাম (৩২) নামে একজনের র্মমান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত রবিউল রংপুর সদর উপজেলার তওবাজার এলাকার লুৎফার রহমানের ২য় পুত্র আর মার্কেট ভবনের মালিক মোহাম্মদ রানার শ্যালক (২ সন্তানের জনক)। এই র্দুঘটনায় শাফায়াত (২৮) ও ্ওই কাজের শ্রমিক পাগলাপীর এলাকার নাজমুল হোসেন(২৫) সহ ২ জন আহত হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ার কুঠি ইউপির ডাংগীর হাট বাজারে এই মর্মান্তিক র্দুঘটনাটি ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও বাজারের লোকজন হতে জানা যায়, রংপুরের তারাগঞ্জের ডাংগীর হাট বাজারে মার্কেট ভবন নির্মান করছিলেন রানা সরকার। চাকুরী সুবাদে বাইরে থাকায় ভবন নির্মানের তদারকিতে ছিলেন তার শ্যালক রবিউল ইসলাম। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টা ঘটনার সময় শ্রমিক নাজমুল হোসেন সেফটিক ট্যাংক পরিস্কার করার জন্য ট্যাংকির নিচে নামলে তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য পশে থাকা পানের দোকানী শাফায়াতকে ডাক দিয়ে সাফায়াতসহ রবিউল নিচে নামে। তাদেরও কোন সাড়া না পেলে পাশে থাকা রবিউলের বড় ভাই জিয়াউল ইসলাম আত্ব চিৎকারে করে। জিয়ার আত্ব চিৎকারে বাজারের লোকজন ছুটে এসে ধরাধরি করে মই আর রশি দিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় তাদেরকে ট্যাংক থেকে উপরে তুলে আনে। ২ জনের জ্ঞান ফিরলেও রবিউলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করে।তার মৃত্যুতে এলাকার মানুয় আতঙ্কিত ও হতবিরল হয়ে গেছে। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আহত ১ জন বর্তমানে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ও ১ জন রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।
খবর পেয়ে ততক্ষনাৎ তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শুসান্ত কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ মর্মান্তিক র্দুঘটনায় এলাকায় ভীতিকর ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।।
তারাগঞ্জ থানা থানার অফিসার ইনচার্জ শুসান্ত কুমার ও হাড়িয়ারকুঠি ইউপি চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় এই মর্মান্তিক ঘটনা এবং মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।