কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কান্দাল গ্রামে সম্পত্তির বিরোধে ফারজু আক্তার (২৫) নামে এক এতিম ভাতিজিকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচা বাহার মোল্লা ও তার পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত ফারজু আক্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কান্দাল গ্রামের মৃত সাধু মিয়ার ছেলে পারুল মোল্লা ১৭ বছর পূর্বে ফারজু আক্তার নামে এক কন্যাসন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন। পারুল মোল্লার মৃত্যুর পর ৭ বছরের ওই শিশু কন্যাকে লালন পালন করেন তার মা রহিমা বেগম। পরে মেয়ে ফারজু আক্তারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মা রহিমা বেগম পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে। সেখানে চাকুরী করে মেয়েকে পড়া লেখা করান ও পরে বিয়ে দেন পাশ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার সেনবাগে। ফারজু আক্তার তার পিতার সম্পত্তি থেকে ১৪ শতক জমির মালিক হন। তার সম্পত্তির ১২ শতকে সে বসতবাড়ী নির্মাণ করে তার মা সহ বসবাস করে আসছে। ফারজুর ২ শতক সম্পত্তি দখল করে রাখে তার চাচা বাহার মোল্লা, এ নিয়ে দু’ পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে শনিবার বাহার মোল্লার বাড়ীর উপর দিয়ে অপর এক চাচার ঘরে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার উপর আক্রমণ করে বাহার মোল্লা, তার স্ত্রী নয়ন বেগম, বাহার মোল্লার বোন তাজ নেহার ও শিল্পী আক্তার।
আহত ফারজু আক্তার বলেন, আমি আমার মাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করি, এটা আমার চাচা বাহার মোল্লা চায় না। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও আমার মাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষে তিনি আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক পলাশ বড়-য়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।