ময়মনসিংহের ভালুকায় পিতা হাতে সৎ মেয়ে খুনের ঘটনায় হত্যার পরিকল্পনাকারী আসামি রিপনকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে ভালুকা.মডেল থানা পুলিশ। এ নিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই আসামি মিনুর সৎ পিতা শফিকুল ইসলাম ও রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান. কুরিগ্রামের ওলিপুর থানার দিঘলহাইল্লা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। টাকার জন্যই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
শফিকুল জানায় একই এলাকার বিধবা মাহমুদা বেগমকে দেড় বছর আগে সে বিয়ে করেন। মাহমুদার আগের স্বামীর ঘরের এক কন্যা সন্তান ছিল মিনু আক্তার (১৪)। মিনুর বিয়ের জন্য মাহমুদা দেড় লাখ টাকা সঞ্চয় করে রেখে ছিল। মাহমুদার দ্বিতীয় স্বামী শফিকুল ইসলাম ওই দেড়লাখ টাকা ব্যবসার কাজে নেয়ার জন্য স্ত্রীর নিকট চাইলে মেয়ের বিয়ের জমানো টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে শফিকুল ক্ষুদ্ধ হয়ে মিনুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ৮ জুন রাতে বন্ধু রিপনের সহযোগীতায় শফিকুল ঘুমন্ত অবস্থায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে মিনুকে হত্যা পর ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় একটি প্রস্তাবিত কারখানার ভিতর মাটির নিচে পুতে রাখে।
২৩ জুন ওই কারখানার ভিতর এলাকার দুই মহিলা লাকড়ী কুড়াতে গেলে মাটি চাপা দেয়া লাশের পাঁ দেখতে পায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মাটি চাপা দেয়া মহিলার লাশ উদ্ধার করে। তখন লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২৫ জুন ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকারীর ও লাশের পরিচয় পেয়ে কুরিগ্রামের নিজ বাড়ী থেকে ঘাতক শফিকুলকে গ্রেফতার করে। শফিকুল হাত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। শফিকুলের স্বীকারোক্তিতে রিপন মিয়াকে গ্রেফতার হয়।