সুদের টাকা পরিশোধের জন্য মারধর ও পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস মাহেন্দ্রা গাড়ি ছিনিয়ে নেয়ায় অভিমানে কালাম সন্যামাত (৪৫) নামের এক মাহেন্দ্রা চালক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়। মৃত কালাম উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের মাদ্রা গ্রামের মৃত হাসেম সন্যামাতের ছেলে। সে (কালাম) টরকী বন্দর সংলগ্ন সুন্দরদী এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সোমবার দুপুরে নিহতের মেয়ে কাকন বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, একবছর পূর্বে কসবা গ্রামের আহাদুল হাওলাদারের কাছ থেকে তার বাবা ৫০ হাজার টাকা সুদে আনেন। একবছরে সুদ ও আসল বাবদ আহাদুলকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপরেও ৯৫ হাজার টাকা দাবী করে আসছিলো আহাদুল। এ নিয়ে রোববার (২৬ জুন) দুপুরে টরকী বাসষ্ট্যান্ডে বসে সুদের টাকার জন্য কালাম সন্যামাতকে মারধর করে একটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয় আহাদুল ও তার সহযোগিরা। এমনকি তার (কালাম) মাহেন্দ্রা গাড়িটি ছিনিয়ে নেয়া হয়।
কাকন বেগম আরও জানান, সুদি কারবারির অত্যাচার ও সুদের টাকার চাঁপ সইতে না পেরে ওইদিন দুপুরে তার বাবা কালাম বিষপান করে। স্থানীয়রা তাকে (কালাম) উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে পরবর্তীতে মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কালাম সন্যামাতকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। মৃত কালাম সন্যামাতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।