সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও কটূক্তি করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন ২নং বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই (৩৫)। রোববার বিকালে চাঁদপুর আদালতে তাকে নেয়ূা হলে কর্তব্যরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নুরুল ইসলাম। এর আগে অভিযুক্তকে নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করে গত রোববার ফরিদগঞ্জে নিয়ে আসে থানা পুলিশের একটি দল।
জানা গেছে, গত ২৩ জুন ফেসবুক আইডি ‘ফরিদগঞ্জের মাটি’ নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে মানহানিকর (কটুক্তি) এবং পদ্মাসেতুর মাঝখানে প্রধানমন্ত্রীকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার হুমকিসহ স্ট্যাটাস দেয় যুবক আবদুল হাই। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্মআহব্বায়ক হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। একই সাথে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের নির্দেশে পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে দায়ের করা অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯/৩১/৩৫ ধারায় নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে অভিযুক্তদের আটকে নেমে পড়ে পুলিশ।
আটককৃত আবদুল হাইয়ের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের মূলপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম পিতা হাফেজ আহমেদ। আবদুল হাই ২নং বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক।
মামলার বাদী হাজী মাকসুদুল বাসার বাঁধন পাটওয়ারী জানান, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেয়ার ঘটনাটি দেখে তিনি তাৎক্ষনিক মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এই যুবক বিএনপির রাজনীতির জড়িত বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পরে রোববার (২৬জুন) তাকে আদালতে প্রেরণ করার পর আদারতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।