প্রকৃতির জায়গায় মানুষ। মানুষ আবাস স্থল নির্মানের জন্য তৈরি করছে ঘর। কিন্তু প্রকৃতির পাখি যেখানে ছিল সেখানেই থাকতে চাইছে। ঘর লেট্রিন নিমার্নের পরও দীর্ঘ দিন ধরে বাশেঁর ঝাড়ের উপড় বসবাস করা পান কৌড়ি আর বকপাখি গুলো তার আবাস স্থল ছেড়ে যেতে চাইছে না। এমনি একটি অভয় আশ্রম বক পাখির আবাসস্থল শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাঘবেড় গ্রামের মৃত বজেন্দ্র চন্দ্র বর্মন বাড়ী। জায়গাটি এখন বকবাড়ী নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। স্বধিনতার পূর্ব হতেই এই পাখিদের এখানে বসবাস। দূর দুরান্ত হতে মানুষ এই পাখির অভয় আশ্রম দেখতে আসে এখানে।
বজেন্দ্র বর্মনের ছেলে রমেশ চন্দ্র বর্মন জানায়, দেশ স্বাধীনের পুর্বে থেকেই এই বাড়ির বাঁেশর ঝাড়ে বক পাখির অভয়ারন্য গড়ে উঠে। শত শত বক পাখি তাঁর বাড়ির বাঁশ ঝাড়ে অবস্থান করে। দিন শেষে রাতের বেলায় পাখি যখন নীড়ে ফিরে তখন শিকারীরা গভীর রাতে এসে বক পানকৌড়ি যা পায় তাই ধরে নিয়ে আসে। কিছু বলতে গেলে নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়। অনেক সময় এলাকাবাসীও বকপাখি ধরে নিয়ে যায়। কিচু বলা যায় না। এবস্থায় এদের সঠিক রক্ষনা বেক্ষনের প্রয়োজন। পাখি শিকারীদের অত্যাচারে এখন বকপাখির সংখ্যাও কমে এসেছে। হারিয়ে যেতে বসেছে বক বাড়ির বক পাখি গুলো। শত প্রতিকুলতাকে পাশ কাটিয়ে সেই বাশেঁর ঝাড়ের উপড়ে ছোট ছোট বাসা বানিয়ে বকপাখি আর পান কৌড়িসহ অনেক পাখি এখানেই বসবাস করে চলেছে। সারাদিন খাবার খেয়ে পরিবারকে খাইয়ে দিন শেষে প্রকৃতির পাখি তার পুরাতন আশ্রয়েই থাকতে চাইছে। ছেড়ে যেতে চাইছে না প্রকৃতির পাখির তার আশ্রয়স্থল। হোক সে যে মানুষেরই বাড়ী। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া বক পাখির এই অভয়াশ্রমকে সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।