রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলম হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে অসামাজিকতার অভিযোগ তু্লেেছন গ্রামবাসী। এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘন্টা তাকে সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের বাড়িতে অবরোধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে অবরোধ থেকে উদ্ধার করেন।
সোমবার ২৭ জুন দিবাগত রাত ১০টার দিকে বানেশ্বর ইউনিয়ন ও সরকারি কলেজ ভবনের পেছনে ও থান্দারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসীরা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে বানেশ্বর ইউনিয়নের সদস্য আলম হোসেন থান্দারপাড়া এলাকায় ওই ইউপির সাবেক সচিবের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ওই সচিবের স্ত্রী ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। যার কারণে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। পরে রাত ১১টার দিকে গ্রামবাসী তাদের আটক করে রাখেন। পরে গভীররাতে থানা পুলিশ ও চেয়ারম্যান তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুরো গ্রামজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আলম হোসেন বলেন, সচিবের পরিবারের সকলের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। সেই সাথে সচিব আমার বেয়াই ও তার স্ত্রী বেয়ান হয়। গতকাল তার বাড়িতে আমার দাওয়াত ছিল। তবে দিনের বেলায় যেতে না পারায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ায়া ছেলেকে সাথে নিয়ে রাতে তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু গ্রামের কিছু লোকজন ওই বাড়ি ঘিরে রাখেন। সেই সাথে আমার ও ওই সচিবের স্ত্রীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেন। তিনি বলেন, তবে এ বিষয়ে কারো প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে ওই সচিব ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে জানান।
বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক দুলাল বলেন, মেম্বারকে অবরোধ করে রাখার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে কেই অসামাজিকতার প্রমান দিতে পারেননি। সেই সাথে ওই সচিব পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। যার কারণে গ্রামবাসীদের সংঘাত এড়াতে সেখান থেকে মেম্বারকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, অসামাজিকতার অভিযোগে ইউপি সদস্যকে অবরোধ করে রাখার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।