সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করে চলেছে অসাধু জেলেরা। জেলেদের এসব মাছ নৌ- ও স্থল পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজধানী শহর ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাণিজ্যিক মৎস্য আড়তে। মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সমুদ্রে অভিযান অব্যাহত থাকার মধ্যেও মৎস্য আহরণ ও রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে অসাধু জেলেরা। শুক্রবার উপজেলার উপশহর বাংলাবাজার থেকে চট্রগ্রামগামী একটি বাসে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দৌলতখান মৎস্য অফিস ও উপশহর বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ঝুড়িকরে রাখা ৫মণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত এসব মাছ নিলামে ৪৫ হাজার ৪শত টাকায় বিক্রি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দৌলতখান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাচনাইন ও বাংলাবাজার পুলিশ ফাড়ির মোঃ রাকিব হোসেন। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাচনাইন জানান, সাগরে এখন বড় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে না। কারণ অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণ করা হচ্ছে। সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম চলছে। সরকার ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সাগরে মাছ ধরার কারণে ওই মাছগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।