চাটমোহর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ছোট শালিখা মহল্লায় পৌরসভা কর্তৃক ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি রাস্তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। রাস্তা ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে দুই পাশে প্রাচীর নির্মাণ করে তা জমিতে পরিণত করা হয়েছে। গত ১৫ জুন প্রকাশ্যে রাস্তাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পৌরসভার এক কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানান। রাস্তাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন ছোট শালিখা মহল্লার কে এম নুরুল হোদা ওরফে হীরা। পারিবারিক কলহের জের ধরে বড় ভাইয়ের সাথে বিরোধে জড়িয়ে এমনটা করেন বলে জানান ওই ব্যক্তি। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে নবপ্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদে যাতায়াতের মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে মহল্লাবাসীর পক্ষে মসজিদ অভিযুক্ত হীরার বড় ভাই ক এম সামসুদ্দোহা অঅনসারী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী চাটমোহর পৌরসভার মেয়র এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখোর কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
জানা গেছে,ছোট শালিখা মহল্লার মুন্সি বাগানে একটি জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম ডাঃ ইব্রাহিম হোসেনের পরিবার। তাঁর বড় ছেলে এই মসজিদের জায়গা দেন। মসজিদে যাবার জন্য ২০১৬ সালে ৩০ ফিট রাস্তা আরসিসি করে দেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই পরিবারের ভাই ভাই দ্বন্দ্ব শুরু হলে নুরুল হুদা হীরা প্রকাশ্যে রাস্তা গুঁড়িয়ে দিয়ে দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন। ফলে মসজিদে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প রাস্তায় মুসুল্লীরা যাতায়াত করলেও,তা যে কোন সময় বন্ধ করা হতে পারে বলে মহল্লাবাসীর আশংকা।
পৌরসভা কর্র্তৃক নির্মিত রাস্তা একজন ব্যক্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি অর্থ দ্বারা নির্মিত সড়কটি ভেঙে ফেলে সরকারের অর্থ বিনষ্ট করা হয়েছে বলে এলাকাাসীর অভিযোগ। এ ব্যাপারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে কে এম নুরুল হোদা আনসারী বলেন,আমাদের ব্যক্তিগত জায়গা এটা। পৌরসভায় এটা দেওয়া হয়নি। আমাদের নিজস্ব জায়গায় রাস্তা নির্মাণ করায়,তা ভেঙে দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করেছি। বিষয়টি ইউএনও,এএসপি,ওসি ও পৌর মেয়র মহোদয় জানেন।