কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চলতি বর্ষা মৌসুমের বন্যায় ১৬৬৫ হেক্টর জমির ফসল সম্পুর্নরুপে বিনষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে এলাকার কৃষক। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে আমন ধান বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বন্যায় উপজেলার আমন বীজতলার অর্জিত ৮৬২ হেক্টরের মধ্যে ৭৭৫, রোপা আউস ১২৫ হেক্টরের মধ্যে ১০৫, শাকসব্জী ১২৫ হেক্টরের মধ্যে ১২৫, তিল ২৫ হেক্টরের মধ্যে ২৫, মরিচ ২৫ হেক্টরের মধ্যে ২৫, পাট ৩৮২৫ হেক্টরের মধ্যে ৬২০ হেক্টর জমির ফসল সম্পুর্নরুপে বিনষ্ট হয়েছে। উপজেলার বজরাতবকপুর গাবেরতল এলাকার কৃষক সাজু মিয়া(৭০) জানান, তার ১০ একর জমি রোপনের আমন বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পুর্নরুপে নষ্ট হয়েছে। পুটিমারী এলাকার বাদশা মিয়া(৭৫) জানান, তার ২একর জমির তোষা পাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পুর্নরুপে নষ্ট হয়েছে। রানীগঞ্জ বকুলতলা এলাকার কৃষক মেহের আলী(৫৫) জানান, এবারে ৪২শতাংশ জমিতে তোষা পাটের আবাদ করেন। বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ক্ষতি হওয়ার আশংকায় পাট পোক্ত হওয়ার আগেই পাট কেটে জাগ দেন। পাট ছেলার পর যে পরিমান পাটের আঁশ পাওয়া গেছে এতে আবাদের খরচ উঠবে না। কৃষি অফিসার কুমার প্রনয় বিষান দাস এ ব্যপারে জানান যে, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উপজেলা ৫৫০ জন কৃষকের মাঝে সার ও বীজের প্রণোদনা বিতরন করা হয়েছে। কৃষকদেরকে আমন বীজতলা তৈরির জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও বন্যায় রাস্তা-ঘাট, বিদ্যালয় ভবন ও বাড়ীঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।