সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও বাড়ছে মহামারী করোনার সংক্রমনের হার। গত তিন দিনে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার গড় ছিল ৩৩শতাংশ। তবুও জনগুরুত্বপূর্ন ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা দানকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি।
এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পেতে রোববার (০৩ জুলাই) থেকে সরকারি ভাবে ব্যাংকিং সেক্টরে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেবা দাতা ও গ্রহিতার উভয়েন মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার।
কিন্তু ফরিদপুরে বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার গ্রাহক নয় শুধু সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপকগন বলছেন, মাস্ক ব্যবহারের প্রজ্ঞাপনের পরেই প্রত্যেক শাখায় গ্রাহকদের অনুরোধ করা হচ্ছে মাস্ক পড়তে। তাদের দাবি ব্যাংক গুলোর কর্মকর্তা কর্মচারিদেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই প্রজ্ঞাপন মেনে চলতে। এজন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে মাস্কসহ হ্যান্ড সেনিটাইজার সরবরাহ করা হচ্ছে।
ফরিদপুর প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান শামিম বলেন, বেশ কিছু দিন পর আবার করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা গ্রাহকদের মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারিরা সবাই শত ভাগ স্বাস্থ্য বিধি যাতে মেনে চলে সেই নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের মেনে চলার ব্যাপারের আমাদের সবাইকে আরো সচেতন ও আন্তিরিক হতে হবে।
ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকায় সোনালী ব্যাংকে প্রধান শাখায় টাকা তুলতে আসা হাবিবুর রহমানকে মাস্ক না পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনকে করোনা ছিলোনা তাই অভ্যাস হয়ে গেছে মাস্ক ছাড়া চলতে। যেহেতু আবার বেড়েছে তাই মাস্ক তো অবশ্যই পড়তে হবে।
ফরিদপুর ওয়ান ব্যাংকের সহকারি ব্যবস্থাপক সাহদাত আল মামুন মাক্সের বিষয়ে বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি, গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সচেতনের বিষয়ে তৎপর রয়েছি আমরা।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, শুধু আর্থিক খাত নয়, সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সকল পর্যায়ের সেবা দাতা ও গ্রহিতার কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিবালনের জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। তবে আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছি যাতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে আমরা একযোগে এই মহামারিকে মোকাবেলা করতে পারি।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদের পিসি আর ল্যাবে গত ২ জুলাই ১০টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ছয়টি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। ৩ জুলাই ৪৯টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১১টি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এবং ৪ জুলাই ৬৫ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১৮টি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবত পরীক্ষার ও সংক্রমনের হার উদ্ধমূর্খী।