আগেই লিখেছি বাল্যকালে পিতাকে হারিয়ে এবং মাতার অন্যত্র বিয়ে হওয়ার পরই আমার পিতা সত্যিকারে এতিম হয়ে যান। এখান থেকেই তাঁর জীবন সংগ্রাম শুরু। ভারত বিভাগ হলে কোলকাতার জীবনের পরিসমাপ্তি এবং ছাপাখানার ব্যবসার করুণ পরিনতি এই সংগ্রামের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তিনি থেমে থাকেন নি। দলিল লেখার নূতন পেশা গ্রহন করে জীবনকে গতিময় করে রাখতে সমর্থ হন। এর পরই মুখোমুখী হন আরো দুর্যোগপূর্ণ জীবনের। তিনি আলসারে আক্রান্ত হন। তাঁর এই রোগটি ছিল ডিওডোনাল আলসার। এসিডের পাশাপাশি পেটের বেদনা (ব্যথা), যার মাত্রা ছিল অসহনীয়। ছোট বেলায় দেখেছি প্রতিদিনই তিনি বেদনায় কাঁতরাতেন। লক্ষ্মীপুরের ডাক্তার আবুল বাসারের চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্থানীয় কবিরাজ-বৈদ্যরাও তাঁকে দেখতেন। ডাক্তার বজলুল হক ভূঞা, কৃষ্ণ সুন্দর কবিরাজ, যোগেশ ডাক্তার, বিনোদ বিহারী নাথ প্রমুখ অহরহই তার চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতেন। তাঁর এই অসুখের কারণ হিসেবে ছাপাখানার শিসার সম্পর্ককে কেউ কেউ বলেছেন। এছাড়া, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেরে বাংলা ফজলুল হকের নেতৃত্বে ২১-দফা আন্দোলনের পক্ষের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের খাওয়াÑঘুমানোর অনিয়ম এর অন্যতম কারণ বলে ডাক্তারগণ বলেছেন। উল্লেখ্য, ঐ নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবি হয় এবং শেরে বাংলার যুক্তফ্রন্ট জয়ী হলে তিনি পূর্ব বাংলার মুখ্য মন্ত্রী হন। আমার পিতা এরপর সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সদস্য-কর্মী হন। আজীবন তিনি আওয়ামী লীগেই ছিলেন এবং পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। আলসারের জন্য আমাদের এক বড় ভাই ড: আতা-ই-রাব্বী তাঁকে অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। আজকাল যত সহজে বিভিন্ন জটিল অপারেশন করা হয় তৎকালে তা এমন উন্নত ছিল না এবং ভীতির ব্যপার ছিল। পরিবার-সন্তানের কথা ভেবে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নেন। তবে চিকিৎসার জন্য অনেকবারই তাঁকে ঢাকা যেতে দেখেছি। এই বেদনা রোগটি জীবনকে কিছুটা হলেও স্থবির করে দিয়েছিল। কখনো কখনো তাঁর অবস্থা মৃত্যু পথযাত্রীর মত হয়ে যেত। এলাকার শুভাকাংখীরা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিতেন, তাঁর জন্য ফল-পথ্য নিয়ে আসতেন। অবশেষে তাঁর এই অসুখের অবসান হয়েছে তাঁর খাওয়া-চলা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাঃ ইব্রাহীম (পরে বারডেমের প্রতিষ্ঠাতা) তাঁকে বলেছিলেন জিহব্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তিনি সুস্থ হবেন। এই মন্ত্রটা তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। ৩০ বছর তিনি ভাত, পোলাও, ঝাল তরকারী এবং তৈলাক্ত তরকারী খাননি। শুধু দুধ-সাগু, ঝাউ (নরম করে রান্না করা পায়েশ), খই, মরিচ ছাড়া তাজা মাছ-মুরগীর তরকারী খেতেন। কখনো দাওয়াতে গেলে আগেই বলে দিতেন যে তিনি পোলাও, মাংস ইত্যাদি খাবেন না। দুধ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বাড়ীতে একটা গাভী পালন করা হত। প্রয়োজনে দুধ রোজ করতেন। আমাদের পাশের বাড়ীর আতিক উল্লাহ ভাই রোজের দুধ সরবরাহ করতেন। তাঁরা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গাভী পালন করতেন। কখনো কোন দাওয়াতে পোলাও খেলে দেখা যেত বাড়ীতে এসে বমি করতেন এবং পেট ব্যথা হত। এই দীর্ঘ সময়ের কৃচ্ছতার ফলে তার আলসার সেরে উঠে। এর মাঝেই জীবিকার প্রয়োজনে দলিল লেখার কাজ চালিয়ে যান।
কিন্তু অসুখ তাঁর পিছু ছাড়েনি। এরপর তাঁর এজমা বা হাঁপানী রোগ দেখা দেয়। ছাপাখানায় শীসার মধ্যে কাজ করায় শ্বাসের এই রোগ বাসা বাঁধে। এখন যেমন বই-পত্র, পোষ্টার, বিজ্ঞাপণ, খাতা-পত্র ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রেসে ছাপানো হয় তখন শীসার তৈরী টাইপ বা অক্ষর কম্পোজ করে তারপর কালি মেখে প্রিন্ট করা বা ছাপানো হত। এই শীসা এবং কালির যে কেমিক্যাল তা গ্যাস আকারে শ্বাস নালীতে প্রবেশ করে হাঁপানি সৃষ্টি হতে পারে। আমার পিতার ক্ষেত্রে সেটি হতে পারে। এজমার কারণে কাশি হত বিশ্রীভাবে। প্রায়ই আব্বার ভোরের দিকের কাশিতে আমাদের ঘুম ভেংগে যেতো। এজমার প্রচন্ডতার জন্য অবশেষে লক্ষ্মীপুরের প্রখ্যাত ডা: আবদুল আওয়াল এক্সরে করে সন্দেহ করেন যে তাঁর টিবি বা যক্ষা হয়েছে। অবস্থা যখন খারাপ হয় তখন তাকে আমি চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত টিবি হাসপাতালে ভর্তি করি। তখন তাঁর অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁকে বাসে করে বাড়ী থেকে চট্টগ্রাম আনা সম্ভব হয়নি। তাই চট্টগামে আমার জনৈক ব্যবসায়ী বন্ধু মোমিনুল হকের কার নিয়ে আব্বাকে নিয়ে আসি। মোমিন সাহেবের সাথে আজো আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি তখন ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে মেজর পদমর্যাদায় চাকরী করি এবং সরকারী বাসায় থাকি। সেটা ১৯৮৪ সাল। তাঁকে তিন বেলা বাসা থেকে আমার স্ত্রী খাবার তৈরী করে দিতেন। আমরা দুজনে পালাক্রমে হাসপাতালে যাওয়া-আসা করি। নূরুল আমীন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ছুটিতে আসে। সে তখন এনসিসি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। আব্বার অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে, তাঁর বাঁচার আশা কমই ছিল। নূরুল আমীন দু’দিন পর যাবার সময় আমাকে ট্রাক বা এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে রাখতে বলে যাতে কিছু হয়ে গেলে বাড়ি নেয়া যায়। ভর্তির সময় হাসপাতালের ডা: মাহমুদকে জিজ্ঞাসা করলাম যে তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা আছে কিনা। তাঁর ফুসফুস প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আমাকে দুই দিন সময় দেয়ার জন্য বললেন। ভর্তির আগে আমি হাসপাতালে গিয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলাম এবং এধরণের রোগীর কি পরিনতি হয় তা জানতে চেষ্টা করলাম। একটা কম বয়সী ছেলেকে যে যক্ষার রোগী ছিল, তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানাল, “আমি যখন ভর্তি হই কেউ বলেনি যে আমি বাঁচব, আমি খেতে পারতামনা। ১০ / ১৫ দিন পর মনে হল ক্ষিধা লাগলে দেয়াল ছেঁচে খাই।” মনে সাহস পেলাম। একজন বয়স্ক রোগীকে কোন্ ডাক্তাকে দেখাব জিজ্ঞাসা করলে তিনি ডাক্তারদের দূর্নীতির কথা বললেন। “তবে ডা: মাহমুদ ভাল লোক, তিনি চকবাজারে চেম্বার করেন।” আমাকে সেখানে যেতে বললেন। ঐদিনই বিকেলে কাগজপত্র নিয়ে ডা: মাহমুদের সাথে দেখা করলে তিনি পরের দিন হাসপাতালে যেতে বললেন। বিদায়ের আগে তাঁকে ভিজিট দিতে গেলে তিনি নিলেন না। বললেন, “আপনার বাবার জন্য এত কষ্ট করেছেন, আমি ভিজিট নেব না, মনে করুণ আমি আপনার বন্ধু।” তাই হল। চট্টগ্রাম থাকা অবস্থায় তাঁর সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ডা: মাহমুদ যখনই ঔষধ প্রয়োগে দ্বিধাগ্রস্ত হতেন তখনই চট্টগাম মেডিকেল কলেজে তাঁর সিনিয়র বা স্যারদের সাথে কথা বলতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর হাতেই ১০ দিন পর আব্বার শরীরে রক্ত-মাংস বাড়ছে বলে মনে হল এবং যে লোক ৩০ বছর ভাত খেতে পারেননি, রুটিতো নয়ই, তিনি কিনা ১০ / ১২ দিন পর বলেন,“ আমার জন্য সকালে ডিম আর ১০ /১২টা রুটি নিয়ে এস যাতে ক্ষিদে পেলে খেতে পারি।” অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ১৬ / ১৭ দিন পর আব্বা একা বাসে করে বাড়ী চলে গেলেন। একটা বিষয় বুঝতে পারলাম যে ডাক্তার বড় হওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তিনি কতটা আন্তরিক ও সৎ। ডা: মাহমুদ তা প্রমান করে দিলেন।
আমার পিতা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষামূলক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি একাধারে লক্ষ্মীপুর জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি, খিলবাইছা নওরোজ ক্লাবের এবং মাছিমনগর বাংলাবাজারস্থ নবযুগ ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন যখন প্রয়াত আলাবক্স ভূইয়া উভয় ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। মরহুম বদিউজ্জামান (বদু মিয়া) তাঁর জীবদ্দশায় পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী লীগের দুই যুগের বেশি সময় ধরে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় প্রয়াত আবদুল হক এবং মরহুম শফিক উল্লাহ ভূঁইয়া যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে আমাদের এক ছোট ভাই প্রয়াত গোলাম মাওলা চৌধুরী কাজল এই ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। বাবা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকারী নিবন্ধিত ৬ নং ইউনিয়ন (এখন ৫নং) এর “পার্বতীনগর কো-অপারেটিভ সোসাইটির” সেক্রেটারি ছিলেন। পরে মরহুম মোহাম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়া তার কাছ থেকে দায়িত্ব নেন। তিনি খিলবাইছা উচ্চ বালিকা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলেন (তখন সভাপতি পদ ছিলো না) যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আমাদের এক বড় ভাই এ এম এম রেজা-ই রাব্বী (অব: সচিব)। মরহুম বদিউজ্জামান জীবিত থাকা কালীন দীর্ঘকাল দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সংবাদদাতাও ছিলেন। তিনি একজন ভাল গায়ক ছিলেন যা কলকাতায় কাজী নজরুল ইসলামের নওরোজ সংবাদপত্রের সাথে কাজ করার সময় তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। তিনি বাংলাবাজার মহিলা মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি কঠোর ধৈর্য সহকারে কষ্টের মধ্যে থেকেও আমাদের (৪ পুত্র ও ১ কন্যাকে) উচ্চতর শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সর্বদা উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি আমাদেরকে পর্যায়ক্রমে এস এস সি পাশের পর লক্ষ্মীপুর থেকে আমাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে, মেঝো ছেলে মো: নূরুল আমীনকে সিলেট এমসি কলেজ, সেজো ছেলে মো: সামছুল আমীনকে ঢাকা কলেজে এবং ছোট ছেলে মো: বদরুল আমীনকে চিটাগাং গভর্নমেন্ট কলেজে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে পড়াশোনা করিয়েছেন। মরহুম বদিউজ্জামান মিয়া সবসময় ভাবতেন সন্তানদের ভালো কোন কলেজে পড়ালে একদিন সুশিক্ষিত হবে। আলহামদুলিল্লাহ, তাঁর প্রত্যেকটি সন্তানই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। আমাদের একমাত্র বোন আয়েশা বেগম বিএ বিএড করে শিক্ষকতা শুরু করে (বর্তমানে প্রধান শিক্ষিকা)। আমরা তাঁর বিশাল অভিজ্ঞ সংগ্রাম ভিত্তিক জীবন থেকে প্রচুর বাস্তবধর্মী শিক্ষা পাই। তিনি না থেকেও এখন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের ভাই বোনদের আদর্শ দিক নির্দেশক এবং আমাদের শিক্ষক।
তাঁর মৃত্যুর পরপরই খিলবাইছা গ্রামে তাঁর কবরের পাশেই “বদিউজ্জামান শিক্ষা কেন্দ্র ও পাঠাগার” স্থাপন করা হয় যেটি একটি শিক্ষামূলক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখনও আমরা এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করছি পারিবারিক ভাবে। সকালে প্রায় ৮০ জন শিশু এবং রাতে এশার নামাজের পর প্রায় ২০ জন প্রবীন গ্রামবাসী এখানে দু’জন শিক্ষকের তত্বাবধানে ছহিহভাবে কোরআন ও ছুরা-কিরাত পড়ছেন। সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের মডেল গণশিক্ষা ও কুরআন পাঠ কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রথম কয়েক বছর এখানে শুধু বয়স্ক শিক্ষা চালু ছিল। শীঘ্রই এই প্রতিষ্ঠানটি একটি বহুমুখী পরিসেবা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করার জন্য আমাদের একটি বড় পরিকল্পণা রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা সেটির বাস্তবায়ন শুরু করেছি। গত ২১ মে ২০২২ বর্তমানে টিনের ঘরে থাকা শিক্ষাকেন্দ্রের পাশেই একটি পাঁচ তলা ভিত্তির উপর আপাতত: ত্রিতল ইমারতের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছি। বর্তমানে এটি একটি টিনের ঘর। এটি সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী হচ্ছে। এর নাম করণ করা হয়েছে “ আমীন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন” (অসরহ বিষভধৎব ঋড়ঁহফধঃরড়হ) যা একটি সমাজ সেবামূলক দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে আতœপ্রকাশ করবে ইনশাআল্লাহ। এর নীচতলায় কোরানিক শিক্ষা, ২য় তলায় একটি ক্লিনিক, ৩য় তলায় একটি পাঠাগার এবং ভবিষ্যতে কম্পিউটার শিক্ষা কেন্দ্রসহ অন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হবে বলে আশা করি। চলবে.................
সাবেক অধ্যক্ষ ও কলাম লেখক।