পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৪টি স্থায়ী ১ টি কুরবানীর অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা সম্পূর্ণ।
বাউশিয়া পাখি মোর, বালুয়াকান্দী বড়রায় পাড়া স্কুল মাঠ, ভাটেরচর বাজার, রসুলপুর বাজার, এই চারটি বাজার অস্থায়ী স্থায়ী একটি বাজার হল স্থায়ী একটি ভবেরচর বাজার হাই স্কুল মাঠ,
গজারিয়া উপজেলা কর্মকর্তা রহিম জানান আমাদের চারটি গরুর বাজার অস্থায়ী ইজারা হয়েছে একটি বাজার স্থায়ীভাবে যারা দিয়েছি তিনি আরো বলেন রসুলপুর বাজার এক লাখ ১ হাজার টাকা, বালুয়াকান্দি বড়রায় পাড়া স্কুল মাঠ ৭৬ হাজার টাকা, ভাটেরচর গরুর হাট চার লক্ষ ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা সবচেয়ে বেশি বাউশিয়া পাখির মোর গরুর হাট চল্লিশ হাজার টাকা, একটি গরুর হাট স্থায়ী ভবেরচর গরুর হাট ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বাজারের ইজারা যারা পেয়েছে মাইকিং ব্যানার পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে যাচ্ছে।
সরেজ জমিনে ঘুরে দেখা গেছে মঙ্গলবার গজারিয়া উপজেল ার দুইটি পশুরহাট মিলেছে রসুলপুর ভবেরচর বাজার গিয়ে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু ছাগল নিয়ে বেপারীরা এসেছে পদ্মা সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জ মাদারীপুর শিবচর থেকে অনেক গরু ব্যবসায়ী গরু নিয়ে এসেছে।
গোপালগঞ্জের গরুর ব্যবসায়ী মনু মিয়া বলেন আমি প্রায় ৩০ টি গরু নিয়ে এসেছি বিক্রি করার জন্য মাত্র তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে।
মাদারীপুরের হানিফ মিয়া বলেন আগে আমরা গরু নিয়ে যেতে কষ্ট হতো পদ্মা সেতু খোলার কারণে গাড়িযোগে গরু নিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে যেতে পারছি আশা করছি ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবো তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ ঈদের আগে পদ্মা সেতু খুলে দিয়েছে।
গ্রামের কৃষকরা প্রতিটি বাড়িতেই দুই একটি করে গরু কুরবানির জন্য প্রস্তুতি করেছে তারা ওইসব গরু গুলো এই বাজারগুলোতে বিক্রি করবে বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যায় নতুন সাজে সাজানোর জন্য বাঁশ দিয়ে।
এই বাজারগুলোতে গরু আনা-নেওয়া করার জন্য যাতায়াতের সুব্যবস্থা আছে এমনকি গরু ক্রেতারা গরু কিনার পর ছোট ছোট পিকআপ দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া সুব্যবস্থা রয়েছে।
বাজারগুলোতে মনিটরিং করার জন্য সুব্যবস্থা থাকবে এবং গুরু পাইকারদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন বলেন কোন প্রকার গরুর হাট গুলোতে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না প্রত্যেকটি বাজারে পুলিশ ফোর্স রয়েছে প্রচুর পরিমাণ নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছি অধিক পরিমাণ হাসলি নিতে না পারে এবং জাল টাকা ব্যবহারকারীদের ও আইনের আওতায় আনা হবে কেতারা ঠিকমত গরু কিনতে পারে এবং ব্যাপারীরা ঠিকমত বাজারে পৌঁছাতে পারে সে ক্ষেত্রে নদী পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশ রয়েছে আশা করছি কোন প্রকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে না
গজারিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, বলেন আমাদের আমাদের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাজার মনিটর করছে এবং পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে কোন প্রকার জাল টাকা আনলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে কোন প্রকার চাঁদাবাজি গরুর হাটে করা যাবে না নদী পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঠিকমত বাজারগুলোতে গরু পৌঁছাতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ বলে দেওয়া হয়েছে গজারিয়া থানা পুলিশ গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ কোস্টগার্ড নৌ পুলিশ দায়িত্বে রয়েছে এবং যে ইউনিয়নে বাজার থাকবে সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা উপস্থিত থাকবেন।