নাটোরের লালপুরে বাবার হাসুয়ার কোপে দুই সন্তানের জনক আবদুল হাকিম (৩৭) নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাবা আজিজুর রহমান কে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই ) দুপুরে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বড়ময়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী রিমা খাতুন পরি (২৫) বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক বিষয়ে শ্বশুর আজিজুর রহমান খলিফা- শাশুড়ি হাফিজা বেগমসহ অন্য সন্তানদের সাথে ঝগড়া করছিলেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার শ্বশুর আজিজুর রহমান খলিফা হাসুয়া দিয়ে স্বামী আবদুল হাকিমের ঘাড়ে কোপ দেন। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপ দেন। হাসুয়ার কোপে তার বাম হাতের কব্জি কেটে গিয়ে আহত হন।
পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক তার স্বামী হাকিমকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার আগেই পথিমধ্যে আবদুল হাকিম মারা যান। গলায় হাসুয়ার কোপে রক্তনালী কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের শাশুড়ি আসেনারা বেগম ও শ্বশুর আবদুর রহিম বলেন, ২০১১ সালে আবদুল হাকিমের সাথে তার মেয়ে রিমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের পায়েল (১১) ও পান্না (৭) নামে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আজিজুর রহমান ওরফে আজদার খলিফা বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রায় ছয় মাস যাবত তিনি ওয়ালিয়া বাজারে তার দর্জির দোকানেই অবস্থান করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দোকান থেকে বাড়ি গিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী রিমা খাতুন বাদী হয়ে আজিজুর রহমান কে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একটি দল রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেন।
এব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান,
নিহতের স্ত্রী রিমা খাতুন বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে ও আসামি আজিজুর রহমান কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।