কুষ্টিয়ায় নিহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের (৩১) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশবাহী গাড়িতে রুবেলের মরদেহ তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
দাফন শেষে কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌর গোরস্থান থেকে হাসপাতাল মোড় ও র্যাব ক্যাম্পের গলি হয়ে মজমপুরে পৌঁছায়। রাস্তা বন্ধ করে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সেখানে অবস্থান করেন শতাধিক সাংবাদিক। এ সময় সাংবাদিকরা হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার বিচারের দাবিতে বক্তব্য দেন এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ৩৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের মজমপুর মোড়ে অবরোধ ও টায়ারে আগুন জ¦ালিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নেন সাংবাদিকরা।
বক্তারা বলেন, রুবেলের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। রুবেল হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সুনির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে নিহতের পরিবারের অভিযোগ নেই। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের কর্মসূচি ঘোষণা
সাংবাদিক রুবেলের খুনিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়ার স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা বন্ধ ঘোষণা।
শুক্রবার লাশ দাফন শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল।
শনিবার কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে কলম বিরতি।
মঙ্গলবার কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ।
বুধবার জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও।
বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ব্রিজের (নির্মাণাধীন) নিচে গড়াই নদী থেকে হাসিবুর রহমান রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত রুবেল কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।