ভোলার ৫ উপজেলার ১৪ টি গ্রামে ১ দিন আগেই প্রায় ৩ হাজার পরিবার পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছে। শনিবার জেলার বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও ভোলা সদর উপজেলায় ঈদ পালন করা হয়েছে। পুলিশে মোতায়েনের মধ্যে ঈদের এসব জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবং তিনি নিজেই ওই জামাতের ইমামতি করেন। জামাত শেষে কোরবানি করা হয়। সকাল ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার ৫ টি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শরিয়তপুরের নুরিয়া উপজেলা দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবারের পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া বলেন, আজ ভোলা জেলার ৫ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। যে সব গ্রামে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে সে সব গ্রামগুলো হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম। বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম। তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম। লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন।
সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদের পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। সুরেশ্বর পীরের অপর এক মুরিদ বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের মতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছি।