কুড়িগ্রামের মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার বানভাসি মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে যুব সংগঠন ‘ইয়ং ইনোভেটরস বাংলাদেশ’। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া পরিষ্কার পানির অভাবে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ এর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। অসহায় মানুষের এই ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে ইয়ং ইনোভটরস বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার বন্যাকবলি মানুষের মাঝে একজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে অসুস্থ্যদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং বিভিন্ন প্রাথমিক ওষুধ যেমন: প্যারাসিটামল,ডাইক্লোফেনাক, খাবার স্যালাইনসহ পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধক ঔষুধ ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া সেচ্ছাসেবীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। একইসাথে নিউট্রিশনিস্ট এর মাধ্যমে খাদ্যগ্রহণ বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয় শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জনাব আরাফাত জানান, " বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম সচরাচর করা হলেও বন্যা পরবর্তী সময়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পানিবাহিত রোগ নিরাময়ে অসহায়দের সহযোগিতার বিষয়ে উদ্যোগ খুব কম পরিলক্ষিত হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাদের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (ঊজঞ) এর পরিকল্পনায় আমরা দ্রুততার সাথে মেডিকেল ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা প্রায় দুই শতাধিক বন্যার্ত মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ঔষুধ বিতরণ করি।"
প্রজেক্টে অংশগ্রহণকারী সেচ্ছাসেবী জনাব মোঃ রবি জানান, " কুড়িগ্রামের বন্যার্তদের হাহাকার একটি নিত্ত নৈমিত্তিক বিষয়। আমাদের এগিয়ে আসার মাধ্যমেই অসহায় মানুষদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এরই ধারাবাহিতায় আমাদের আজকের প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবো আমরা।"
উল্লেখ্য যে, ইয়ং ইনোভেটরস বাংলাদেশ যুব সংগঠনটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে একদল তরুণের মাধ্যমে পথচলা শুরু করে। সংগঠনটির ২০২২-২৩ বর্ষ কমিটির সভাপতি মোঃ সাফফাত হোসেন জানান,“আমরা সমাজের উন্নতির জন্য নিজেদের নিয়োগ করার পাশাপাশি অন্যদেরও উৎসাহিত করি একজন সেচ্ছাসেবী হয়ে উঠার। দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করা কেবল আমাদের কর্তব্য নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব”। তিনি আরও জানান, “আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করা। যখন আমরা সকলেই দেশের উন্নতির জন্য এগিয়ে আসতে পারবো,তখন টেকসই উন্নয়ন সাধিত হবে”।