ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়া ইমিগ্রেশন সীমান্ত পথে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বৈধ পথে বাংলাদেশে আসার সময় এক ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বক্সমাহমুদ এলাকার ইউপি সদস্য সরোয়ারুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ঐ ভারতীয় নাগরিক ইউপি মেম্বার সরোয়ার প্রধান আসামি ও স্থানীয় আরজু সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ভারতে বিলোনিয়ার মতাই গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাস (৪০)নামের এক যুবক অভিযোগ করেছেন
মামলার বিবরণ সূত্রে মতে, বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বৈধ ভাবে বিলোনিয়ার ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন গোবিন্দ বিশ্বাস। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিএনজি যোগে পরশুরাম যাবার পথে পরশুরাম বাজারের কাছাকাছি পৌছলে সরোয়ারুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪/৫জন তাকে জোর পুর্বক একটি সিএনজিতে তুলে অজ্ঞাত একটি বাড়ীতে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে এবং তার সাথে থাকা নগদ বাংলাদেশী ৭০হাজার টাকা এবং ভারতীয় রুপি ১০হাজার টাকা এবং একটি স্বর্নের গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
গোবিন্দ বিশ্বাস ভারতের বিলোনিয়ার মতাই গ্রামের সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।
গোবিন্দ বিশ্বাস জানান তাকে অজ্ঞাত স্থানের বাড়ীতে নিয়ে পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে গুরতর আহত করেন। টাকা ও স্বর্ন নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
অপর দিকে অভিযুক্ত বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরোয়ারুল করিম চৌধুরীর কাছে এই বিষয় বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান গোবিন্দ বিশ্বাস প্রকাশ বাপ্পার কাছে তিনি একটি মোটর সাইকেলের টাকা পাওনা ছিল সে টাকার জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সরোয়ার চৌধুরীকে গ্রেফতার করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পরশুরাম থানার পুলিশের এস আই আলমগীর হোসেন একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে।